
আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগিতায় দেশের বীমা শীল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করেছেন ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন আর বিমা কোম্পানিদের বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিমা শিল্প ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গেল একবছরেও বিমা কোম্পানিদের বিষয়ে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
গতকাল ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম বলেন, একটা প্রতিষ্ঠিত বিমা কোম্পানিকে দখল করে রাষ্ট্রের খেটে খাওয়া গ্রাহকদের টাকা লুটপাট করেছিল ইন্স্যুরেন্স দখলকারী নজরুল,খালেক-হেমায়েত গং। তাতে বাধা না দিয়ে সরকার চেয়ে চেয়ে দেখেছিল।
গত ১৪ মাসে গ্রাহকের ২৬৮ কোটি টাকা পরিষোধের বিষয় উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, ফারিস্টের সাবেক কর্মকর্তা গ্রাহকের ২৩শ কোটি টাকা দেনা রেখে গেছে। ৫ই আগষ্টের পর দায়িত্ব নিয়ে ১৪ মাসে ২৬৮ কোটি টাকা ঋণ পরিষোধ করেছি। একই সময়ে আয়ের ৯০ শতাংশ গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ করছি।
পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ইন্স্যুরেন্সের টাকা লোপাট কারিদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে গেলে তারা আমাদের ফিরিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেছি। তবে মজার বিষয়, কোর্টে মামলা করার পর ফৌজদারিরা আমাদের বিরুদ্ধে থাকায় মামলা করেছে।
অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, লুটপাটে জড়িত যাদের বিষয় আমরা ডকুমেন্ট পেয়েছি তাদের বিষয় আমরা মামলা করেছি। যারা এখনো বহাল রয়েছে তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। তবে আমরা কাউকে অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত করতে চাই না।
ফারিস্ট বর্তমানে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোম্পানির সমস্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হচ্ছে এবং নিয়মিত অডিট ও পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে। কোম্পানির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে আবারও আর্থিক স্থিতিশীলতা সহ গ্রাহক আস্থা ফিরে পেয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফারইস্টের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ








