ফুটবল লিজেন্ডঃ গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
পৃথিবীতে ফুটবল জন্ম লগ্ন থেকে কেউ না কেউ শাসন করেছেন।কেউ একা বা অন্যের সাথে মিলে করেছেন।কেউ নিজকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন কেউ পারেননি।নিজের খেলা দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন এমন খেলোয়াড় অনেক আছে কিন্তু কেউ নিজেকে বেশি উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
লিখিয়েছেন লিজেন্ডের খাতায় নাম।
তেমনি নিজের কৌশল,হেডিং,জুড়ালো শর্ট এবং ফিনিশিং সব মিলিয়ে উনিশ শতকের শেষ প্রজন্মকে মুগ্ধ করে লিজেন্ডের খাতায় নাম উঠিয়েন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা।
পুরো নাম গ্যাব্রিয়েল ওমার বাতিস্তুতা।তার ডাক নাম ছিলো বাতিগোল।তিনি ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আর্জেন্টিনার রেকুনকুইস্তা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ছিলেন মধ্যে বিত্ত পরিবারের ছেলে।
তার উচ্চতা ছিলো ৬ ফুট ১ইঞ্চি।তিনি আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের স্ট্রাইকার ছিলেন।আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার আগে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন।তিনি নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবে তারুণ্যের জীবন শুরু করেন।তারপর রিভার প্লেট,বোসা জুনিয়র, রোমা,ফিওরেন্তিনা,আল আরাবি সহ আরো অনেক ক্লাবে খেলেছেন।তার ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতালিয়ান ক্লাব ফিওরেন্তিনা ক্লাবে বেশি সময় খেলেছেন।সেখানে তিনি ১৯৯১-২০০০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন।তিনি সেই ক্লাবের সেরা স্কোরার ছিলেন এবং ইতালিয়ান সিরি-আ লীগে ১২ তম সেরা স্কোরার ছিলেন।তিনি সেখানে ৩১৮ ম্যাচ খেলে ১৮৪ গোল করেছেন।যখন তার ক্লাব ২য় শ্রেণিতে নেমে যায় তখনও তিনি ক্লাবের পাশে থেকে ১ম সারিতে আনেন অনেক পরিশ্রম করে।ঠিক তার পরের বছরই ক্লাবের সাফল্য এনে দেন।তিনি ১৯৯৬ সালে তার ক্লাবকে কোপা ইতালিয়ান ও সুপার কোপা এনে দেন।তার পারফর্মেন্স ফিওরেন্তিনা সমর্থক সহ পুরো ইতালিয়ান বাসি মুগ্ধ হয়েছিলেন।তিনি কখনো ফিওরেন্তিনা ক্লাবের হয়ে সিরি-আ লীগের টাইটেল জিততে পারেন নি।যখন তিনি রোমাতে যোগদান করেন সেই মৌসুমেই সিরি-আ লীগ জয় করেন।রোমাতে ৩ বছর খেলার পর ২০০৩ সালে ধারে ইন্টারেনিজিওনালে যান।সেখানে তিনি বেশি দিন খেলতে পারেন নি।সেই মৌসুমেই তিনি আল-আরাবিতে যোগদান করেন।সেখানে ২ বছর খেলে অবসরে যান।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ৭৮ ম্যাচে ৫৪ গোল করে দেশের হয়ে ২য় সেরা গোল স্কোরার।
আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৩ টি বিশ্বকাপে অংশ নেন।বাতিস্তুতাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি পরপর দুটি বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করেছিলেন।১৯৯৪ বিশ্বকাপে গ্রীস এবং ১৯৯৪ সালে জামাইকার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন।
তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা এবং ফিফা কনফেডারেশন কাপ জিতেন।তিনি ১৯৯৯ সালে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কারে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।২০০৪ সালে ১২৫ জন জীবিত ফুটবলারের তালিকায় সেরা ১০০ তে স্থান পান।
সেই সময়ে দুর্দান্ত ফিনিশিং, হেডিং এবং ফ্রি-কিক নেবার ক্ষমতার কারণে তাকে তাঁর সময়ের একজন অন্যতম পূর্ণ স্ট্রাইকার হিসেবে গণ্য করেন দিয়াগো ম্যারাডোনা।গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার অন্যতম গোল;
২০০০-০১ মৌসুমে তিনি ফিওরেন্তিনা ছেড়ে রোমাতে যোগ দেন।ইতালিয়ান লীগ সহ জাতীয় দল পর্যন্ত সব জায়গায় যে গোল গুলো করেছেন প্রত্যেকটা গোল দেখার মতো।তিনি প্রায় গোল ডি বক্সের বাইরে থেকে জুড়ালো শর্টে করেছেন।গ্যাব্রিয়েল বলটা এমন ভাবে গোল পোস্টে পাঠাতেন তা গোল কিপার নিজেও বুঝতে পারতেন না।ডি-বক্সের বাইরে থেকে কয়েকজন ডিফেন্ডারের ও গোল কিপারের মাথার ওপর দিয়ে ঠিক গোল বারের নিচ দিয়ে জালে বল পাঠাতেন।
রোমার হয়ে সাবেক ক্লাব ফিওরেন্তিনার বিপক্ষে ২০০০-০১ মৌসুমে ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে একটি শর্ট নেন।
সেখানে বিপক্ষ দলের সব খেলোয়াড় অবস্থান করছিলেন।
গোল কিপার সহ প্রায় ১৬ জন খেলোয়াড় ডি-বক্সের আশেপাশে ছিলেন।তার শর্টটি প্রত্যেক ডিফেন্ডারের মাথার উপর দিয়ে গোল কিপারকে পরাস্ত করে জালে গিয়ে গড়াগড়ি খায়।সেই গোলটি গোল কিপারকে বুঝতেই দেননি।চোখের পলকে ঢুকে যায় জালে।
আমার দেখা সেই গোলটি বাতিস্তুতার অন্যতম সেরা গোল।
প্রথম আন্তর্জাতিক গোল:
৬ জুলাই ১৯৯১ সালে কোপা আমেরিকাতে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে অসাধারাণ একটি গোল করেন।বাতিস্তুতার জীবন চরিত্র :
বাতিস্তুতা তার প্রাথমিক জীবন শুরু করেন গ্লোরিয়া জিলি স্কুলে। ৪ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড় এবং একমাত্র ছেলে। যখন তার বয়স ১৬ তখন তিনি তার গার্ল ফ্রেন্ড ইরিনা ফার্নান্দেজ এর সাথে প্রথম দেখা করেন।পরে ২৮ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে বিবাহ একই ছাদের নিচে বসবাস শুরু করেন।১৯৯১ সালে শেষের দিকে যখন তার প্রথম পুত্র থিয়াগোর জন্ম হয় তখন তিনি ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন শীপে এবং আর্জেন্টিনার হয়ে অনেক ভালো খেলেন।
২০০৩ সালে ১২ বছরের ইতালিয়ান জীবনের ইতি টানেন এবং কাতারে চলে যান।মার্চে ২০০৫ সালে আল-আরাবির হয়ে খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানেন।২০০৬ সাল অস্ট্রেলিয়াতে কাটালেও ২০০৭ সালে নিজের জন্মভূমিতে ফিরে আসেন।
আর্জেন্টিনাতে আসার পর তিনি পুল ও গলফও খেলেন।আর্জেন্টিনার একটি টিভি চ্যানেলে সবাইকে অবাক করে বলেন”আমি ফুটবল কম পছন্দ করি, এটা আমার কর্ম”।
পরে আবারও তিনি অস্ট্রেলিয়াতে যান পায়ের চিকিৎসার জন্য।
২০০৬ বিশ্বকাপে তিনি টেলিভিশনের ধারাভাষ্যের কাজ করেন।জানুয়ারি ২০১২ তে স্থানীয় একটি ক্লাবের স্টাফে যোগ দিলেও পরে তিনি ২০১২-১৩ মৌসুম শেষেই সেখান থেকে চলে আসেন।খেলা জীবন শুরু;
তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন সব ধরণের খেলা খেলতেন।তার উচ্চতার জন্য তিনি বাস্কেট খেলোয়াড় হতে চেয়েছিলেন।কিন্তু সেই সময়ে ১৯৭৪ সালে আর্জেন্টিনা প্রথম বিশ্বকাপ অর্জন করেন। তারপরই তিনি ফুটবলার হওয়ার বাসনা করেন।পরে তিনি স্থানীয় কোচের মারিও ক্যাম্পেসের কাছে নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন এবং ফুটবলের উন্নতির জন্য খেলা শুরু করেন।তিনি বন্ধুদের সাথে প্রায় সময়ই রাস্তায় খেলছেন।তিনি ছোট থাকতেই অসাধারণ খেলেছেন।অবাক করেছেন স্থানীয় কোচদের।পরে ছোট বেলাতেই তিনি একটি স্থানীয় ক্লাব প্লাটেনছি জুনিয়র ক্লাবে খেলা শুরু করেন।সেখানে খেলা অবস্থায় তিনি নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবে খেলার জন্য নির্বাচিত হন এবং সেখানে ১৯৮৮ সালে সাইন করেন।।
ক্লাব ক্যারিয়ার;
নিওয়েলজ ওল্ড বয়েজ :
নিওয়েলজ ওল্ড বয়েজ ক্লাবে তিনি প্রথম সাইন করেন।সেখানের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা বাতিস্তুতার খেলায় পছন্দ হন এবং তাকে দলে সাইন করান।ঠিক ১ বছরেই তার জীবনের মোড় ঘোরে যায়।তবে তার একটি সমস্যা ছিলো ওজন বৃদ্ধির। যা তাকে স্লো করে দিচ্ছিলো।তার গার্ল ফ্রেন্ড ও তার পরিবার তাকে এই বিষয়ে অনেক সাহায্য করেছেন।
তিনি সেই ক্লাবে অনেক ভালো খেলছিলেন।তিনি ওল্ড বয়েজের হয়ে মোট ১৬ ম্যাচ খেলেছেন এবং গোল করেছেন ৪ টি।দেপোর্তিভো ইতালিয়ানো;
তার খেলা দেখে অনেক ক্লাব আগ্রহ দেখায়। সেই বছর শেষে ইতালিয়ান একটি ছোট ক্লাবে লোনে খেলতে যান। দেপোর্তিভো ইতালিয়ানোর হয়ে কার্নিভাল কাপে অংশ নেন এবং ৩ গোল করে সেরা স্কোরার হন।
রিভার প্লেট;
১৯৮৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাতিস্তুতার জীবনের বড় মাইলফলক হলো আর্জেন্টিনার প্রথম সারির ক্লাব রিভার প্লেটে সাইন করা।তিনি সেখানে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন আর তাতেই করেছেন বাজিমাত।তিনি সেখানে ১৯ ম্যাচে ৩ গোল করেছিলেন।বলতে গেলে সেখান থেকেই তার বড় ক্লাবের পথ চলা শুরু।
বোসা জুনিয়র্সস;
১৯৯০ সালে রিভার প্লেট থেকে বোসা জুনিয়র্সে যোগ দেন।
সেখানে তিনি নিজের মত নিজের পছন্দের জায়গাতে খেলতে পারেন।১৯৯১ সালে যখন অস্কার তাবারেজ দলের কোচ হয়ে আসেন তখন বাতিস্তুতাকে যথেষ্ট পরিমাণ সমর্থন করেন।মাঠে নিজের মত করে খেলতে দেন।তখন নিজের পছন্দ মতো সেন্টার এটাকে খেলে বাতিস্তুতা লীগের সেরা স্কোরার হয় এবং ঐ মৌসুমেই বোসা চ্যাম্পিয়ন শীপ অর্জন করেন।
বোসা জুনিয়র্সের হয়ে ৩০ ম্যাচে ১৩ গোল করেছিলেন।
ফিওরেন্তিনা;
১৯৯১ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা খেলার পর ফিওরেন্তিনার সভাপতি তাকে দলে সাইন করান।সে ডার অভিষেক মৌসুমেই করেছিলেন ১৩ গোল।কিন্তু ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে তার দল ২য় সারিতে নেমে যায়।কিন্তু ক্লাবের কঠিন সময়ে তিনি পাশে থেকে কঠোর পরিশ্রম করে আবার ১ম সারিতে তুলে আনেন।১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে তিনি ২৬ গোল করে ইজিও পাজকোটির ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেন।ফিওরেন্তিনাকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে কোপা ইতালিয়ান এবং সুপার কোপা এনে দেন।তিনি ১৯৯১-২০০০ সাল পর্যন্ত এই ইতালিয়ান ক্লাবে খেলেছিলেন।তিনি তার জীবনের সেরা ফর্ম কাটান।তিনি সেখানে ২৬৯ ম্যাচে ১৬৮ গোল করেছিলেন।
রোমা;
২০০০ সালের শেষের দিকে রেকর্ড পরিমাণ টাকা দিয়ে তিনি রোমাতে যোগ দেন।৭০ বিলিয়ন ইতালিয়ান লিরিতে ৩ বছরের চুক্তি করেন।যোগ দেওয়ার মৌসুমেই তিনি রোমাকে এনে দেন সিরি-আ লীগ টাইটেল। রোমাতে ৩ বছরে তিনি ৬৩ ম্যাচে ৩০ গোল করেন।
সেখান থেকে ২০০৩ সালে তিনি রোমা থেকে ইন্টারেনাজিওনালে লোনে খেলতে যান।সেখানে মাত্র ১২ খেলে করেন ২ গোল।
কাতার:আল-আরাবি
ইন্টারেজিওনালে বেশি দিন খেলতে পারেন নি।সেখান থেকে তিনি সরাসরি ২০০৩ সালেই আল-আরাবিতে যোগ দেন।২১ ম্যাচে ২৫ গোল করেছিলেন।কাতালিয়ান লিজেন্ড মনসুর মুফতাহর কম ম্যাচের বেশি গোলের রেকর্ড টি ভেঙে দেন।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার;
১৯৯১ সালে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা নিজের প্রথম কোপা আমেরিকা খেলার জন্য আর্জেন্টিনা দলে নির্বাচিত হন।সেই অভিষেক কোপাতে তিনি ৬ গোল করে সেরা স্কোরার হন।
এবং নিজের দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন।
১৯৯২ সালে খেলেন ফিফা কনফেডারেশন কাপ এবং চ্যাম্পিয়নও হন।
১৯৯৩ কোপা আমেরিকার জন্য ২য় বারের মত ডাক পান আর্জেন্টিনা দলে।নিজের দেশের জার্সি গায়ে তিনি ফাইনালে মেক্সিকোকে ২-১ হারিয়ে নিজের ২য় কোপা এনে আর্জেন্টিনাকে।সেই ফাইনালের দুটি গোলই করেছিলেন বাতিস্তুতা।১৯৯৪ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলেনন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা।অভিষেক বিশ্বকাপেই করেন হ্যাট্রিক।গ্রীসের বিপক্ষে হ্যাট্রিক সহ টুর্নামেন্টে তিনি মোট গোল করেছিলেন ৪ টি।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে ইতিহাসের চতুৃর্থ খেলোয়াড় হিসেবে পরপর দুটি বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন।সেক্ষেত্রে বাতিস্তুতার প্রতিপক্ষ ছিলো জামাইকা।
২০০২ বিশ্বকাপ ছিলো বাতিস্তুতার শেষ বিশ্বকাপ।
তার দল গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পরেন।তিনিও বেশি একটা ভালো করতে পারেননি।।
খেলার ধরণ;
গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা তিনি ছিলেন খুব দ্রুত গতির খেলোয়াড়।শক্তিশালী একজন ফুটবল অল-রাউন্ডার।ভালো কৌশল ছিলো তার পায়ে।পরিষ্কার ফিনিশিং দিতে পারতেন।তার হেডিং ও ফ্রি-কিক ছিলো তার খেলোয়াড় জীবনের অন্যতম অস্ত্র। তার খেলা দেখে ম্যারাডোনা বলেছিলেন “তার সময়ে দেখা একজন অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন বাতিস্তুতা”।
গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সিনিয়র ক্যারিয়ার;
ক্লাব ক্যারিয়ার:ক্লাব সময় ম্যাচ গোল
নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ১৯৮৮-৮৯ ১৬ ৪
রিভার প্লেট ১৯৮৯-৯০ ১৯ ৩
বোসা জুনিয়র্স ১৯৯০-৯১ ৩০ ১৩
ফিওরেন্তিনা ১৯৯১-০০ ২৬৯ ১৬৮
রোমা ২০০০-০৩ ৬৩ ৩০
ইন্টারেনাজিওনালে (লোনে) ২০০৩ ১২ ০২
আল-আরাবি ২০০৩-০৫ ২১ ২৫
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার;
আর্জেন্টিনা ১৯৯১-০২ ৭৮ ৫৪
ট্রফি ;
ক্লাবের অর্জন:
রিভার প্লেট:
আর্জেন্টিনা প্রিমিয়ার ডিভিশন ১৯৮৯-৯০বোসা জুনিয়র্স:টর্নিও ক্লাউসোরা ১৯৯১ফিওরেন্তিনা: সিরিয়া-বি ১৯৯৩-৯৪
: সুপার কোপা ইতালিয়ান ১৯৯৬
:কোপা ইতালিয়ান ১৯৯৫-৯৬
রোমা:
সিরি-আ ২০০-০১
:সুপার কোপা ইতালিয়ান ২০০১আন্তর্জাতিক ;আর্জেন্টিনা:
*কোপা আমেরিকা :১৯৯১,১৯৯৩*ফিফা কনফেডারেশন কাপ: ১৯৯২*আর্তেমিও ফ্রান্সি ট্রফি:১৯৯৩
ব্যাক্তিগত অর্জন:
*কোপা আমেরিকার টপ স্কোরার:১৯৯১,১৯৯৫*
ফিফা কনফেডারেশন কাপ সেরা স্কোরার:১৯৯২*
সিরি-আ সেরা স্কোরার: ১৯৯৪-৯৫*
কোপা ইতালিয়ান সেরা স্কোরার: ১৯৯৫-৯৬*
ফিফা সেরা একাদশ :১৯৯৭,১৯৯৮*
ফিফা বিশ্বকাপ রুপার বুট:১৯৯৮
*ইউরোপিয়ান স্পোর্টস অফ দ্যা ইয়ার:১৯৯৪-৯৯
*সিরি-আ বিদেশি সেরা ফুটবলার:১৯৯৯
*ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ব্রনজি অ্যাওয়ার্ড ১৯৯৯
*কাতার লীগ সেরা স্কোরার:২০০৪
*ফিফা সেরা ১০০ জন ফুটবলারের তালিকায় থাকা।
*ইতালিয়ান Hall of Fame :২০১৩*ফিওরেন্তিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা।
*আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় সেরা গোল দাতা।
১৯৯১-২০০২ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গোল;বছর——- ম্যাচ——- গোল
১৯৯১— ০৭ — ০৬
১৯৯২— ০৫ — ০৬
১৯৯৩— ১৫ — ০৬
১৯৯৪— ১০ — ০৬
১৯৯৫— ১১ — ০৭
১৯৯৬— ০৫ — ০৩
১৯৯৭— ০২ — ০০
১৯৯৮— ১২ — ১০
১৯৯৯— ০২ — ০০
২০০০— ০৫ — ০৪
২০০১— ০১ — ০১
২০০২— ০৩ — ০১
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় গোল;প্রতিযোগিতা ——— ম্যাচ—— গোল
ফ্রেন্ডলি ——– ২২——- ১৬
কোপা আমেরিকা —– ১৬——- ১৩
ফিফা বিশ্বকাপ
কোয়ালিফাই ————-১৯——- ১১
ফিফা বিশ্বকাপ——— ১২——- ১০
অন্যান্য টুর্নামেন্ট —— ০৯——- ০৪ তথ্যসূত্রঃ বিডিবার্সা.কম