উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ যা সাধারণভাবে “চ্যাম্পিয়নস লীগ” নামে পরিচিত যা ইউরোপ মহাদেশের ক্লাব ফুটবলের বার্ষিক একটি প্রতিযোগিতা। এটি আগে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাবস’ নামে পরিচিত ছিল। এটি গঠিত হয়েছিল বলতে গেলে অনেক আগেই ১৯৫৫ সালে এবং বর্তমান যে ফরম্যাট তা ১৯৯২ থেকে চালু হয়ে আসছে।

চ্যাম্পিয়নস লীগ ইউরোপের ক্লাব পর্যায়ের শীর্ষ দলগুলোকে অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা, ১৯৫৫ সাল থেকে যেটির আয়োজন করে আসছে “ইউনিয়ন অব ইউরোপীয়ান ফুটবল এসোসিয়েশন” যা সংক্ষেপে উয়েফা নামে পরিচিত। এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার ক্লাব ফুটবলে জগতে সবচেয়ে গৌরবজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়। এই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ উয়েফা কাপ ও উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ থেকে আলাদা প্রতিযোগিতা। ১৯৯২ সালের আগ পর্যন্ত ইউরোপের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশের শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলোকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতা হত। তবে পরে রানার্স আপ দলগুলোকেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ কয়েকটি স্তরে ভাগ হয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান ফরম্যাট অনুযায়ী মধ্য-জুলাই মাসে তিনটি প্রাথমিক নকআউট বাছাইপর্ব রয়েছে। বাছাই পর্ব থেকে উন্নীত ১৬টি দল আগে থেকে বাছাই করা ১৬টি দলের সাথে গ্রুপ পর্যায়ে প্রবেশ করে। গ্রুপ পর্যায়ের আটটি গ্রুপের বিজয়ী ও রানার্স-আপ নিয়ে ১৬টি দল মূল নকআউট স্তরে প্রবেশ করে। এই রাউন্ড ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হয় এবং মে মাসে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বিভিন্ন দল এই শিরোপা জিতেছে এবং অনেক দল একাধিক বার এই শিরোপা লাভ করেছে। এপর্যন্ত অনুষ্ঠিত আসর গুলোর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ রেকর্ড ১০ বার এই শিরোপা জিতেছে। এসি মিলান জিতেছে ৭ বার, লিভারপুল ৫ বার, আয়াক্স আমস্টারডাম ও বায়ার্ন মিউনিখ ৪ বার এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জিতেছে ৩ বার।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের রেফারিদের জন্য ১৯৯০ সাল থেকে নিয়ম জারি হয়েছে রেফারিকে অবশ্যই বয়স ৪৫ এর মধ্যে হতে হবে এবং বর্তমানে প্রত্যেক রেফারিকে ফিটনেস এর পরীক্ষা দিতে হয়। সৌজন্যেঃ আড্ডাখানা.কম