স্পেশাল উইপন্স এন্ড ট্যাকটিস (SWAT)
অনেক সময় সন্ত্রাসী ধরতে গিয়ে কিছু কিছু অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে যেখানে নিয়মিত অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ সদস্যদের পক্ষে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়; সেক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা, জিম্মি উদ্ধার অভিযানে দক্ষ এবং আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত বাহিনীর প্রয়োজন হয়। কারণ কিছু অপরাধী গোষ্ঠী উন্নত অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের মোকাবিলা করে। সাজোয়া যান, সাব মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেল, নাইট ভিশন গগলস সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একটি এলিট ফোর্স গঠন করা হয়ে থাকে।
১৯৬৮ সালে লস এঞ্জেলস পুলিশ প্রথম সোয়াত গঠন করে। ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে সোয়াত গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশেও ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সোয়াত গঠন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রশিক্ষকগণ প্রথমে ঢাকায় ৪২ দিনের একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তারপর তাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশেষায়িত দলটি গঠন করা হয়।
এই বাহিনীর জন্য উন্নতমানের সাজ-সরঞ্জাম, স্লাইপার রাইফেল ও যানবাহনসহ সহায়ক অন্যান্য সবকিছুতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহায়তা দেয়। বিশেষায়িত মামলা তদন্ত, বোমা অপসারণ, জিম্মি উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণ মামলা তদন্ত ইত্যাদিতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সোয়াত গঠন করা হয়েছে। তথ্যসূত্রঃঅনলাইনঢাকা