‘বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র আছে?’
বিশ্বের নতুন পাঁচটি ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করায় ডয়চে ভেলের পাঠকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, যা তাঁরা তুলে ধরেছেন ফেসবুক পাতায়৷
‘‘এতে অবাক হওয়ার কি আছে? এটা সাধারণ জনগণ অনেক আগে থেকেই জানে!” জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশনের সম্প্রতি প্রকাশ করা বিশ্বের নতুন পাঁচটি ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করায় এই মন্তব্যটি করেছেন ডয়চে ভেলের পাঠক শামীম আহমেদ৷
তবে গবেষণার ফলাফল মানতে একদমই রাজি নন পাঠক গাজি মোমিন উদ্দীন৷ তিনি ফেসবুক পাতায় লিখেছেন ‘‘একটি দেশের একটি অখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাকে কী বললো, এটা বড় করে দেখার কিছু নেই৷ এসব ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের কথায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে থাকবে না৷ নিন্দা জানাই, উদ্ভট এই তথ্য সরবরাহের জন্য৷”
অন্যদিকে পাঠক মো.সালেহ উদ্দীন খান মোটেই অবাক হননি, তাঁর ভাষায় ‘ ‘জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে বলতে হবে কেন, নিজেদের বিবেক-বুদ্ধি, চোখ-কান কি অন্যের কাছে বর্গা দিয়েছি? বাংলাদেশের কোন্ রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র আছে ?” তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচরণ করে কোনো এমপি, মন্ত্রী, সংসদের বিরোধীদলের নেত্রী, রাজপথের বিরোধীদলের নেতা-নেত্রী, বিচারপতি, রাষ্ট্রপতি কেউ টিকতে পারবে কি?” মো.সালেহ উদ্দিন খান মনে করেন , ‘‘অর্বাচিনের মতো তর্ক না করে সত্য মেনে নিয়ে সঠিক কাজ করলেই দেশের মঙ্গল হবে৷”
আর এ বিষয়ে পাঠক মেনন রাশেদ মনে করেন যে, এটা নতুন করে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ কিন্তু একথা সত্য যে গত ৫ বছর স্বৈরাচারী পন্থায় দেশ চলছে৷ গুম, খুন, নির্যাতন, মামলা, হামলা করেই দেশটাকে নিজের হাতের মুঠোবন্দি করে রেখেছে৷ শুধু বিরোধী দল না, দেশের সব পথে, সব রাস্তায় সাধারণ মানুষদের দমনপীড়ন চলছে৷
ই গবেষণার ফলফলকে বিশ্বাস করেন পাঠক সালেক মোহাম্মদ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় অবশ্যই সত্যতা আছে৷ একথা অস্বীকার করা যায় না৷ কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মজুমদারের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত যে, বিরোধী দলের ভূমিকা খুবই খারাপ আমাদের দেশে৷ বিরোধী দলগুলির আরও দায়িত্বপূর্ণ আচরণ আমরা আশা করি৷ জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় আমাদের অনেক শিক্ষার আছে৷ এজন্য তাদেরকে এবং ডয়চে ভেলেকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷”
সাইফুল আমিন লিখেছেন, ‘‘এরশাদ নিজ দেশ থেকে স্বৈরাচারের তকমা পেয়েছিলো কিন্তু আজ আন্তর্জাতিকভাবে আমরা স্বৈরাচারী হয়ে গেলাম, এটাই আফসোস!
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সূত্র: ডয়চে ভেল