কানাডা গেলেন প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে আজ শুক্রবার সকালে কানাডায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গী দলের সদস্যদের বহনকারী আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) টরেন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান টরেন্টোয় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং কানাডার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক ও অন্টারিও প্রদেশের চিফ অব প্রটোকল জোনাথন সোভ।

টরেন্টোয় দুই ঘণ্টার যাত্রাবিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রী জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনস্থল প্রাদেশিক রাজধানী কুইবেকের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। কুইবেকের জাঁ লেসাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এবং কানাডার ফেডারেল ও প্রাদেশিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

টরেন্টো পৌঁছানোর আগে প্রধানমন্ত্রী দুবাইতে ৫ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেন।

শনিবার লা মানোয়া রিশেলো হোটেলে জি-৭ আউটরিচ লিডার্স প্রোগ্রামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে রবিবার সকালে তাঁর অবস্থানস্থল হোটেল শাতো ফ্রন্তেনাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ।

কুইবেক থেকে রবিবার টরেন্টো পৌঁছবেন তিনি এবং সন্ধ্যায় হোটেল মেট্রোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী হোটেল রিৎজ কার্লটনে মিয়ানমার বিষয়ক কানাডার বিশেষ দূত বব রী’র সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এ ছাড়াও তিনি সাচকাচিওয়ান প্রদেশের উপ- প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও রপ্তা উন্নয়ন মন্ত্রী গর্ডন উইয়ান্ট কিউ.সি. এবং সাচকাচিওয়ান প্রদেশের অভিবাসন ও ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণ মন্ত্রী জেরেমি হ্যারিসন ও প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

টরেন্টো ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী কমার্শিয়াল করপোরেশন অব কানাডা (সিসিসি)-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্টিন জাবলোকির সঙ্গেও বৈঠক করবেন। মঙ্গলবার দুবাই হয়ে দেশে ফিরবেন তিনি।

শেখ হাসিনা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলোর সংগঠন জি-৭-এর বাইরের অপর ১৬ বিশ্ব নেতার সাথে গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭)-এর আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন।

জি-৭-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এবং জি-২০’র সভাপতি মোরিসিও ম্যাকরি, হাইতির প্রেসিডেন্ট ও ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির সভাপতি জোভেনেল ময়েস, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী এ্যান্ড্রু হলনেস, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, মার্শাল আইল্যান্ডসের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইনে, নওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট ও আফ্রিকান ইউনিয়নের সভাপতি পল কাগামে, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, সিসিলির প্রেসিডেন্ট ড্যানি ফোরে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুচ, ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগারডে, ইকোনমিক কো-অপারেশন ও ডেভেলপমেন্ট সংস্থার মহাসচিব জোসে এ্যাঞ্জেল গারিয়া, জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সম্মেলনে যোগ দেবেন।