সেলুলয়েডের ফিতায় ইসলামের প্রাথমিক যুগ: নেপথ্যে গাদ্দাফীর অবদান
১৯৭৬ সালে নির্মিত ‘আর-রিসালাহ’ তথা ‘দ্য ম্যাসেজ’ চলচ্চিত্রটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবনী ভিত্তিক ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র। ৩ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন সিরীয়-মার্কিন পরিচালক মুস্তফা আক্কাদ। মহাকাব্যিক এ চলচ্চিত্রটিতে রাসুলের (সা) নবুয়্যত প্রাপ্তির পর থেকে মক্কা বিজয় পর্যন্ত ইসলামের প্রাথমিক যুগের ইতিহাস উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসলামের ইতিহাস অবিকৃতভাবে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে যে অল্প সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জানা যাক কীভাবে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এই চলচ্চিত্রটি অবশেষে আলোর মুখে দেখেছিল।
পরিচালক মুস্তফা আক্কাদ
‘দ্য ম্যাসেজ’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মুস্তফা আক্কাদের জন্ম ১৯৩০ সালে, সিরিয়ার আলেপ্পোতে। ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি আগ্রহী ছিলেন তিনি। আলেপ্পো আমেরিকান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়াতে (UCLA) চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিচালনার উপর পড়াশোনার সুযোগ পান। ১৯৫০ সালে যখন তিনি সিরিয়া ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, তখন তার সম্বল ছিল মাত্র ২০০ ডলার আর একটি কুরআন শরিফ।
আক্কাদ দ্রুতই মার্কিন জীবন-যাপনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন। কিন্তু তিনি কখনোই নিজের আরব এবং মুসলমান সত্ত্বাকে পরিত্যাগ করেননি। তার বন্ধুরা তাকে প্রায়ই পরামর্শ দিত, তিনি যেন নিজের নামকে পরিবর্তন করে মার্কিন নামের মতো করে নেন। কিন্তু তিনি সব সময়ই বলতেন যে, তিনি একজন সিরিয়ান এবং মুসলমান। এ নিয়ে তার মধ্যে কোনো হীনমন্যতা ছিল না।
UCLA থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর আক্কাদ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (USC) থেকে ১৯৬২ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজনার উপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সহকারি প্রযোজনা এবং কিছু প্রামাণ্য চিত্র প্রযোজনার মধ্য দিয়ে আক্কাদ ধীরে ধীরে আমেরিকান টিভি নেটওয়ার্ক এবং হলিউডে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে থাকেন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বে তিনি অত্যন্ত ব্যবসাসফল ‘হ্যালোউইন‘ সিরিজের চলচ্চিত্রের জন্যই বেশি পরিচিত, কিন্তু একই সাথে ইতিহাসে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তার অমর সৃষ্টি, ইসলামের প্রাথমিক যুগের ইতিহাস ভিত্তিক বায়োপিক ‘দ্য ম্যাসেজ’ তথা ‘আর-রিসালাহ’র জন্য। খুব বেশি ব্যবসাসফল না হলেও, কালের বিবর্তনে এটি ক্লাসিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
‘দ্য ম্যাসেজ’ নির্মাণে পরিচালকের উদ্দেশ্য
ইসলামের ইতিহাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কে ১৯৭৬ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুস্তফা আক্কাদ বলেন, তিনি এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ থেকে। তিনি নিজে আরব মুসলমান, কিন্তু জীবন কাটিয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বে। তাই তিনি সব সময়ই মনে করতেন, পশ্চিমা বিশ্বকে ইসলামের সত্যিকার রূপটা সম্পর্কে জানানো তার কর্তব্য।
তিনি বলেন, বিশ্বে ৭০ কোটি (সাক্ষাৎকারের সময়) মুসলমানের বসবাস। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, বহির্বিশ্ব এই ধর্ম সম্পর্কে খুবই কম জানে। সেজন্যই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তিনি ইসলামের ইতিহাস পশ্চিমা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবেন, যেন এই দুই সমাজের মধ্যকার ব্যবধানটুকু দূর হয়, যেন তাদের মধ্যে এক ধরনের সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
শুধু মহানবীকে (সা) নয়, আক্কাদ আরেক মুসলিম বীর যোদ্ধা, ইতালীয় উপনিশবাদের বিরুদ্ধে লিবিয়ার মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক ওমর আল-মুখতারকে নিয়েও ‘লায়ন অফ দ্য ডেজার্ট‘ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বিখ্যাত মুসলিম সেনাপতি সালাহউদ্দিন আইয়্যুবিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি ব্যয় করেছেন ‘হ্যালোউইন’ সিরিজের ভৌতিক চলচ্চিত্র নির্মাণের পেছনে। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাপারটা ব্যাখা করেন এভাবে যে, ধর্মীয় মূলভাবের চলচ্চিত্র তৈরির জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তা জোগাড় করা খুবই কঠিন। সেজন্যই তিনি হরর জঁনরার প্রতি ঝুঁকে পড়েছিলেন।
‘দ্য ম্যাসেজ’ নির্মাণের পেছনের গল্প
ধর্ম খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এর সাথে কোটি কোটি অনুসারীর বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও আবেগের ব্যাপারগুলো জড়িত। মুস্তফা আক্কাদও এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন। তাই সকল বিতর্ক এড়ানোর জন্য এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই চলচ্চিত্রটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে, তিনি এর চিত্রনাট্য রচনার সময়ই একাধিক মুসলিম বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেন।
তিনি মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা চিত্রনাট্যের প্রতিটি পৃষ্ঠা যাচাই-বাছাই করিয়ে নেন। চলচ্চিত্রের কাহিনীতে এবং চিত্রায়ণ পদ্ধতিতে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় খুঁজে না পাওয়ায় আল-আজহার কর্তৃপক্ষ এটি নির্মাণের অনুমতি দেয়।
তবে আল-আজহার অনুমতি দিলেও, সে সময় সৌদি আরবের ‘মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ’ এর বিরোধিতা করে। মুস্তফা আক্কাদের ইচ্ছে ছিল সৌদি আরবের মক্কা এবং মদীনার আশেপাশে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণ করার। কিন্তু বাদশাহ ফয়সলের অনুমতি না পাওয়ায়, বাধ্য হয়ে তাকে বিকল্প লোকেশনের সন্ধান করতে হয়। কুয়েত এবং মরক্কোর আর্থিক সহায়তায় তিনি ১৯৭৪ সালে মরক্কোর মারাকাশে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। শুধুমাত্র সপ্তম শতাব্দীর মক্কা এবং মদীনা শহর দুটোর সেট নির্মাণ করতেই তার সময় লাগে সাড়ে চার মাস!
চলচ্চিত্রটিকে আরব এবং পশ্চিমা উভয় বিশ্বের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার জন্য, নির্মাতা এটিকে একই সাথে দুটো ভাষাতে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য পরপর দু’বার করে ধারণ করা হয়। প্রথমে আন্তর্জাতিক কলাকুশলীদের দ্বারা মূল ইংরেজি সংস্করণ এবং তার পরপরই একই লোকেশনে, একই সেটে, হুবহু একই দৃশ্য পুনরায় অভিনয় করানো হয় আরব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দ্বারা।
মূল ইংরেজি সংস্করণে অন্যতম প্রধান চরিত্র রাসুলের (সা) চাচা আমির হামজা (রা) চরিত্রে অভিনয় করেন মেক্সিকান-আমেরিকান অভিনেতা অ্যান্থনি কুইন এবং আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন গ্রীক অভিনেত্রী ইরিন পাপাস। আরব সংস্করণে এই দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন মিসরীয় অভিনেতা আব্দুল্লাহ গেইথ এবং সিরীয় অভিনেত্রী মুনা ওয়াসিফ। ইংরেজি সংস্করণটির নাম দেওয়া হয় ‘দ্য ম্যাসেজ’ আর আরবি সংস্করণটির নাম হয় ‘আর-রিসালাহ’। রিসালাহ শব্দটির অর্থ বার্তা বা ম্যাসেজ। ইসলাম ধর্মমতে, রাসুলের (সা) কাছে মহান আল্লাহর কাছ থেকে যে ওহী বা বার্তা এসেছে, তা বোঝাতেই এই নামকরণ করা হয়।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, মহানবীর (সা) চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলা। কারণ ইসলাম ধর্মে রাসুলের (সা) কোনো ধরনের ছবি বা প্রতিকৃতি তৈরি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পুরো সিনেমার কোথাও তাই মহানবীর (সা) ছবি তো দূরের কথা, তাঁর ছায়াও একবারের জন্যও দেখানো হয় না। একই কথা তার নিকটাত্মীয় এবং খুলাফায়ে রাশেদীনদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই এই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্র হিসেবে উঠে এসেছে রাসুলের (সা) চাচা আমির হামজা এবং পালিত পুত্র জায়েদ।
রাসুলকে (সা) না দেখিয়েই চলচ্চিত্রে তার ভূমিকা বোঝানোর জন্য পরিচালক কিছু অভূতপূর্ব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। যখনই কোনো সাহাবি বা অন্য কেউ মহানবীকে (সা) উদ্দেশ্য করে কোনো কথা বলেন, তখন তিনি সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। উত্তরগুলোতেও রাসুলের (সা) সরাসরি বক্তব্য দেখানো হয় না, বরং হামজা, বেলাল অথবা জায়েদ তার পক্ষ হয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। মাঝে মাঝে কেউই উত্তর দেয় না, কিন্তু সাথের অভিনেতারা এমনভাবে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং মাথা নাড়ান, মনে হয় যেন তারা ঠিকই রাসুলকে (সা) দেখছেন এবং তার কথা শুনছেন, যা দর্শকরা শুনতে পারছে না।
রাসুলের (সা) উপস্থিতি বোঝাতে সিনেমাতে অধিকাংশ সময়ই ক্যামেরার মাধ্যমে তার দৃষ্টিকোণ তুলে ধরা হয়। সিনেমায় তিনি যখন তাঁর উটের পিঠে করে যেতে থাকেন, তখন দর্শকরা উটের পিঠে স্থাপিত ক্যামেরার দৃষ্টিতে এমনভাবে আশেপাশের দৃশ্য দেখতে পায়। পুরো সিনেমাতে রাসুলের (সা) সাথে সরাসরি সম্পর্কিত মাত্র দুটো জিনিস দেখানো হয়- তাঁর উট ‘ক্বাসওয়া’ এবং তাঁর হাতের লাঠি।
চলচ্চিত্রের পেছনে গাদ্দাফীর অবদান
‘দ্য ম্যাসেজ’ নির্মাণ শুরুর আগে মুস্তফা আক্কাদ যখন প্রথমবার লিবিয়াতে গিয়েছিলেন অর্থ সংগ্রহের জন্য, তখন তাকে লিবিয়াতে প্রবেশই করতে দেওয়া হয় নি। এয়ারপোর্ট থেকেই তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তিনি কুয়েত এবং মরক্কোর কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু করেন। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে মরক্কো এবং কুয়েত প্রাথমিকভাবে অর্থায়ন করলেও পরবর্তীতে সৌদি আরব আপত্তি জানালে কুয়েত তার অবস্থান থেকে সরে আসে।
মরক্বোর রাজা দ্বিতীয় হাসান তারপরও তার সমর্থন অব্যাহত রাখেন। কিন্তু সৌদি আরবের প্রচণ্ড চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত তিনিও নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন। ৬ মাস শ্যুটিং চলার পর মরক্কো ‘দ্য ম্যাসেজ’-এর শ্যুটিং বন্ধ করে দেয় এবং মুস্তফা আক্কাদকে প্রথমে গ্রেপ্তার ও পরে মরক্কো থেকে বহিষ্কার করে। অর্থাভাবে বিদেশী কলাকুশলী সহ পুরো ইউনিট শীতাতপ নিয়ন্ত্রণবিহীন নিম্নমানের একটি হোটেলে দিন অতিবাহিত করতে থাকে।
উপায় নেই দেখে আক্কাদ আবারও লিবিয়াতে যান এবং ৬ মাস ধরে মরক্কোতে শ্যুটিং করা দৃশ্যগুলো লিবীয় নেতা মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফীকে দেখান। পিপল ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, গাদ্দাফী ধারণকৃত দৃশ্যগুলো দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হন এবং আবেগে কেঁদে ফেলেন।
তিনি মুস্তফা আক্কাদকে সিনেমাটির বাকি অংশ লিবিয়াতে নির্মাণের অনুমিত দেন এবং চলচ্চিত্রটি নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য বাকি অর্থের যোগান দেন। বদরের যুদ্ধে যে বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত অভিনেতা প্রয়োজন ছিল, তার জন্য গাদ্দাফী লিবিয়ান সেনাবাহিনীর ৩,০০০ সৈন্যকে নিযুক্ত করেন। এই সৈন্যরা এক্সট্রা হিসেবে অভিনয় ছাড়াও সিনেমার সেট নির্মাণেও সাহায্য করেছিল। এছাড়াও গাদ্দাফীর সরকার এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শিল্পীদের প্রত্যেককে লিবিয়ান মুদ্রায় তাদের মূল পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক প্রদান করে।
অবশেষে গাদ্দাফীর অর্থায়নে ও লিবিয়ান সেনাবাহিনীর সহায়তায়, লিবিয়ার দক্ষিণের মরুময় সাবহা শহরে ৬ মাস শ্যুটিং চলার পর সম্পন্ন হয় ‘দ্য ম্যাসেজ’ চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ।
বিতর্ক, সমালোচনা ও প্রশংসা
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিলেও চলচ্চিত্রটি নির্মিত হওয়ার পর তারা এর নিন্দা জানায়। সৌদি আরব, কুয়েত, মিসর সহ বেশ কয়েকটি দেশ রাসুলের (সা) উট এবং লাঠি দেখানোর কারণে চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনী সিনেমাটির প্রশংসা করেন এবং এটিকে ইরানে প্রদর্শনের অনুমতি দেন।
লেবাননের শিয়া কর্তৃপক্ষও চলচ্চিত্রটির ভূয়সী প্রশংসা করে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে অন্যান্য আরব রাষ্ট্রও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কালক্রমে এটি আরব বিশ্বে ক্লাসিকের মর্যাদা লাভ করে। এখনও প্রতি বছর বিভিন্ন ইসলামী দিবস উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো চলচ্চিত্রটি প্রচার করে। তথ্যসূত্রঃroar.media