বলিউডের সেরা ১০ রোমান্টিক ছবি

বলিউডের সেরা ১০ রোমান্টিক ছবি

মুঘল-ই-আজম
পাঁচ যুগ পেরিয়ে গেছে, তার পরও এখনো অম্লানমুঘল-ই-আজম। শুধু সেরা প্রেমের ছবি হিসেবে নয়, বলিউড ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ছবির নাম নিলেও এ ছবিকে অগ্রাহ্য করা যাবে না। ১৯৬০ সালে ভারতজুড়ে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক কে আসিফের একমাত্র সার্থক এই সৃষ্টি। মোগল সম্রাট আকবর-পুত্র সেলিমের সঙ্গে সাধারণ নর্তকী আনারকলির প্রেমকাহিনি নিয়ে নির্মিত এই ছবির অসাধারণ সেট, ধ্রুপদি নৃত্য, হূদয় ছুঁয়ে যাওয়া গানগুলো আজও প্রযোজক-পরিচালক থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকদের সমানভাবে দোলা দেয়। ক্ল্যাসিক এই লাভস্টোরিতে অভিনয় করেছিলেন পৃথ্বিরাজ কাপুর, দিলীপ কুমার, মধুবালা, দুর্গা খোতে প্রমুখ।

ববি
টিনএজ প্রেমের ছবি ববি বলিউড ছবির ইতিহাসে নতুন এক ধারার সূচনা করেছিল। ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ঋষি কাপুর-ডিম্পল কাপাডিয়া অভিনীত এ ছবি হিন্দি সিনেমায় আধুনিক প্রেমকাহিনির সার্থক উপস্থাপনা ছিল। তরুণ বয়সী দর্শক তো বটেই, পরিণত বয়সের দর্শকেরাও ববির প্রেমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন সেই সময়।

সিলসিলা
প্রেম এবং পরকীয়া নিয়ে সিলসিলা ছবিটি নির্মাণ করে হিন্দি ছবির জগতে রীতিমতো আলোড়ন তুলেছিলেন প্রযোজক-পরিচালক যশ চোপড়া। অমিতাভ-রেখার প্রেমময় সম্পর্ক নিয়ে তখন বাস্তবে বেশ গুঞ্জন চলছিল। রেখার কারণে অমিতাভ-জয়ার দাম্পত্য জীবনে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। যশ চোপড়া ঠিক সেই সময়ে ত্রিভুজ সম্পর্কের অদ্ভুত এক প্রেমের গল্প নিয়ে ১৯৮১ সালে সিলসিলা ছবিটি নির্মাণ করেন।

দেবদাস
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর প্রেমকাহিনি দেবদাস অবলম্বনে বিমল রায় পরিচালিত এই ছবি হিন্দি ছবির ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অবস্থানে রয়েছে। ১৯৫৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে দেবদাস চরিত্রে দিলীপ কুমারের অপূর্ব অভিনয়ের কথা দর্শক কখনোই ভুলতে পারবে না। ছবিটিতে পার্বতী চরিত্রে ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। চন্দ্রমুখী চরিত্রে বৈজয়ন্তী মালা।

কেয়ামত সে কেয়ামত তক
১৯৮৮ সালে এক নতুন রেকর্ডের সূত্রপাত করে আমির খান ও জুহি চাওলা অভিনীত কেয়ামত সে কেয়ামত তক। এই ছবি দিয়েই রাতারাতি তারকা হয়ে যান আমির খান। মনসুর খান পরিচালিত এ ছবিতে সেই সময়ের সম্পূর্ণ নতুন মুখের নায়ক-নায়িকা আমির খান ও জুহি চাওলা তাঁদের ‘ফ্রেশ লুক’ এবং চমৎকার সাবলীল রোমান্টিক অভিনয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবেই সবার হূদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন।

দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গেদিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে
১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এ ছবিতে শাহরুখ খান ও কাজলের মিষ্টি প্রেমের অভিনয় ছবিটিকে চির অমর করে রেখেছে। এ ছবির শেষ দৃশ্যে রেলস্টেশনে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময় কাজল আর শাহরুখের দৃশ্যটিকে বিবেচনা করা হয় বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা রোমান্টিক দৃশ্য হিসেবে। ছবিটি ১০টি ক্যাটাগরিতে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।

ম্যায়নে পেয়ার কিয়া
১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির প্রতিটি গানই ছিল তখনকার সময় সুপার ডুপার হিট, বিশেষ করে ‘কবুতর যা যা’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। মিষ্টি প্রেমের কাহিনি নিয়ে নতুন নায়ক-নায়িকা সালমান খান আর ভাগ্যশ্রী তখন বলিউডে নতুন জুটির আগমনী বার্তা শুনিয়েছিলেন। ধনী-গরিবের সামাজিক বৈষম্য ও প্রেম ভালোবাসা নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে শিল্পীদের অভিনয়, গান, নাচ—সবকিছুতেই ছিল ভালো লাগার মতো বেশ কিছু নতুনত্বের ছোঁয়া।

কুছ কুছ হোতা হ্যায়
১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে শাহরুখ খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন কাজল ও রানী মুখার্জি। ছোট্ট একটি চরিত্রে ছিলেন সালমান খান। অল্প বয়সী নির্মাতা করন জোহর প্রথম ছবিতেই সাফল্যের চমক দেখিয়ে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বিগ শট পরিচালক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এই ছবির মাধ্যমে।

হাম দিল দে চুকে সনম
১৯৯৯ সালে সঞ্জয়লীলা বানসালির হাম দিল দে চুকে সনম ছবিটি সুপারহিট হয়। অভিনয়-প্রতিভা দিয়ে ঐশ্বরিয়া বলিউডকে নিজের জাত চেনান এই ছবি দিয়েই। সালমান খান, ঐশ্বরিয়া রাই ও অজয় দেবগন অভিনীত এ ছবির নির্মাণেও ছিল অপূর্ব চমক।

বীরজারা
ভারতীয় বৈমানিক বীর প্রতাপ সিং আর পাকিস্তানি তরুণী জারা হায়াত খানের ভেতরকার অচ্ছেদ্য প্রেমের গল্প বীরজারা। সীমান্ত পেরোনো প্রেমের একটা আলাদা আবেদন নিয়ে নির্মিত যশ চোপড়ার এই ছবিতে ছিলেন শাহরুখ খান ও প্রীতি জিনতা। ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ২৫ কোটি রুপি বাজেটের এই ছবি বক্স অফিস থেকে আয় করে ৯৪ দশমিক ২২ কোটি রুপি। তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো