ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হচ্ছে না ১১ বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে মহানগরের দুই অংশ কোনো থানা কমিটিও দিতে পারেনি। মহানগরের নেতারা বলছেন, বারবার কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেও তাঁরা ফল পাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্রুতই আমরা ঢাকা মহানগরের দুই অংশের সম্মেলনের তারিখ দিয়ে দেব।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহানগর কমিটিতে পদপ্রত্যাশী দুজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের মহানগরের সম্মেলন হওয়ার পর বাদ পড়া নেতারা এবং তাঁদের অনুসারীরা সংগঠনের কোনো ফোরামে জায়গা পাচ্ছেন না। স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান নেতারা ছাত্রলীগ থেকেই এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় এখন তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল ২০০৬ সালের ৩১ মে। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১১ বছর। ২০০৯ সালের পর থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি উঠলেও অজ্ঞাত কারণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সেই সম্মেলনে উত্তরের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মোবাশ্বের চৌধুরী আর সম্পাদক হয়েছিলেন ফরিদুর রহমান খান। দুজনই এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হিসেবে নিজ নিজ কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত। আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন দেবাশীষ বিশ্বাস। সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন আরিফুর রহমান। তাঁরা এখন কেন্দ্রে উঁচু পদের প্রত্যাশী।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কিছু থানা কমিটি এখনো চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। আবার অনেক থানা কমিটির মেয়াদ ১০ বছরের বেশি। এমনকি মহানগরের দুই শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন বর্তমান নেতৃত্ব।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত থানা রয়েছে ২৩টি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন আরও তিনটি থানা গঠন করা হয়েছে। এগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কমিটি নেই।
জানতে চাইলে মোবাশ্বের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতা ছিল, এ জন্য এত দিন সম্মেলন হয়নি। এখন প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের কমিটি হচ্ছে। আশা করি, এ বছরের মধ্যেই আমাদের সম্মেলন হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২২টি থানায় কমিটি রয়েছে। কিন্তু নতুন আরও থানা গঠন হয়েছে। পুরোনো থানাগুলোর কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ফলে পদপ্রত্যাশী নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
দেবাশীষ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০৬ সালের পর দেশের কী অবস্থা, সেটা আপনারা দেখেছেন। তারপরও অনেক দিন হয়েছে। সম্মেলন তো করতেই হবে। এটা যেকোনো সময় হতে পারে।’
সূত্র: প্রথম আলো