বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এ যুগে স্যাটেলাইট একটা প্রাইভেট কোম্পানিও পাঠাতে পারে। স্যাটেলাইট নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করে মিডিয়া দ্বারা প্রচার করছে,
অন্যদিকে লুটপাট করছে। এই স্যাটেলাইট তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে করেছে এতে বাংলাদেশের কত টাকা লোকসান হবে সেটা বলছে না।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মাদার অব ডেমোক্রিসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি সুচিকিৎসা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রভাষক সমিতি নামের একটি সংগঠন।
মেগা প্রজেক্টের নামে জনগণের ওপর ঋণের বোঝা চাপানো হচ্ছে মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, ‘মেগা প্রজেক্ট এই স্বৈরাচারদের খুব প্রিয় জিনিস। জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে এরা এসব মেগা প্রজেক্ট এর কথা বলছে। মেগা প্রজেক্টের কথা বলে দেশের ওপরে এবং আগামী প্রজন্মের উপরে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আগে ঋণের বোঝা ছিল ৩৬ হাজার কোটি টাকা আর এখন সেটা ৬০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বৈরাচারদের কিছু সিদ্ধান্ত আছে। সেটা হলো নির্বাচনে জয় পেতে দখলদারিত্ব চালাতে হবে। আর যেখানে দখল করতে পারবে না সে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে হবে। এ দ্বিমুখী সিদ্ধান্তের সাথে আছে এদেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে এদেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই নির্বাচন কমিশনের ওপর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশিত করি না। এদের সাথে নতুনভাবে দুদক অংশগ্রহণ করেছে যেখানে বিরোধী দলীয় প্রার্থী থাকবে সেখানে দুদক তাদের হয়ে কাজ করবে।’
আইনি প্রক্রিয়ায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসনকে বের করা যাবে না উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বের করা যাবে না। কারণ যে দেশে আইনের শাসন নেই সে দেশে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিভাবে সুষ্ঠু বিচার আশা করা সম্ভব। এজন্য আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামী দিনের আন্দোলন জন্য।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে আন্দোলনের ডাক যেভাবে আসবে দেশের মানুষকে সাথে করে সফল করতে হবে। এখন যে আমরা প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা করছি এটা প্রথম স্টেপ মাত্র। পরবর্তী স্টেপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে দেশের জনগণ তাদের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত আছে এবং আমাদেরকেও প্রস্তুতি নিতে হবে। এ প্রস্তুতের জন্য বেশি সময় নেয়া যাবে না আইনের উপর ভরসা করে নির্বাচন কমিশনের ওপর ভরসা করে বসে থাকবেন সেটা উচিত হবে না। আমাদের পথ আমাদেরই বেছে নিতে হবে। আজ দেশের মানুষের মনের অবস্থা একই তারা সবাই একটা কিছু দেখতে চায়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।