রমজান ও সেশন জটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি স্থগিত করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা। কিন্তু প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি আগের মতো চলমান থাকবে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কোটা আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর, নির্যাতন ও হল ত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রর্দশন করা হচ্ছে। একটি অতি উৎসাহী ও কুচক্রী মহল সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এসব নোংরা ও ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, কবি সুফিয়া কামাল হলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ৭ মে পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারির সময় বেঁধে দেয় আন্দোলনকারীরা। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ১৩ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।