বিএনপির দুটি উইকেট পড়ে গেছে। একটি উইকেট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং অপরটি অলি আহমেদ। এই দুই নেতার নেতৃত্বে নতুন বিএনপি গঠিত হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ওই দুই নেতার নেতৃত্বে বিএনপির অনেক নেতারা গোপনে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া আর তারেককে বাদ দিয়েই তারা আগামী নির্বাচনে আসবে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মঞ্জুর হোসেন স্টেডিয়ামে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসতে চায় না। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, বর্তমানে বিএনপির কোনো নেতা নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আর তারেক রহমান মানি লন্ডারিং ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে পলাতক। বিএনপির নেতা কে সেটা যদি ঠিক না হয়, তাহলে সেই দলের ভোটার কী করবে?
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, আগামী নির্বাচন হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনে যদি বিএনপি আসে তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আব্দুর রহমান আরও বলেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না, নির্বাচন হতেও দেবে না। এই নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য ইতোমধ্যে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি। আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে তারা। যদি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি, মানুষের জানমালের ক্ষতি আর সম্পদ বিনষ্ট করা হয় বা মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নেতাও জীবিত থাকতে এই সহিংসতা হতে দেয়া হবে না।