জনতার ওপর ফাঁকা গুলি, অস্ত্রসহ সাবেক এমপি আটক

যানজটে আটকা পড়ে জনতার ওপর ফাঁকা গুলি করার অপরাধে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাকুড়িয়া খোয়াই নদীর ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।

আটক সোহেল প্রথমে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর বলে পরিচয় দেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের চাপে নীলফামারী–৩ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য থাকার কথা প্রকাশ করেন।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। এরই প্রেক্ষিতে মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ’

পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে সাবেক সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল শ্রীমঙ্গল থেকে চুনারুঘাটে আসার পথে পৌরশহরের খোয়াই নদীর ব্রিজে যানজটে আটকা পড়েন। এই সময় একটি মোটরসাইকেল তার গাড়িতে ধাক্কা দিলে তিনি ক্ষেপে যান এবং মোটরসাইকেল আরোহী উপজেলার উষাইনগর গ্রামের জিএম শাহীনকে মারপিট করেন। এতে উত্তেজিত জনতা তাকে ঘিরে ধরে।

একপর্যায়ে তিনি তার সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়েন। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের নেতৃত্ব একদল পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিয়ে রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় নিয়ে আসেন।

প্রথমে মেজর রানা পরিচয় দিলেও পরে জানা যায়, তিনি নীলফামারী–৩ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য। পরে তাকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রানা মোহাম্মদ সোহেল নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বালাগামের মহসিন মিয়ার ছেলে। সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি চা ব্যবসায়ী, পঞ্চগড়ে তার কয়েকটি চা বাগান রয়েছে।