কৃষিক্ষেত্রকে উন্নয়নের জন্যই কেআইবি কৃষি পদকঃ কৃষিবিদ এ এম এম সালেহ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার ৩:০০ ঘটিকায় কৃষিবিদ দিবসের আলোচনা সভা ও কেআইবি কৃষি পদক বিতরণ অনুষ্ঠান কৃষিবিদ ইনস্টিউটিশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং কেআইবি কৃষি পদকপ্রাপ্তদের মাঝে পদক বিতরণ করবেন ।
কেআইবি কৃষি পদক কেন দেয়া হচ্ছে , জানতে চাইলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সভাপতি কৃষিবিদ এ এম এম সালেহ বলেন “ যারা কৃষি সেক্টরে ভালো কাজ করেছে , তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষি পদক দেয়া হয় , তবে সেটা পর্যাপ্ত নয়। যারা রাষ্ট্রীয় পদক পাচ্ছেন , তার বাইরেও অনেক প্রতিভা রয়ে যাচ্ছে , যাদেরকে পদক দিলে আরো বেশি উৎসাহিত হবে , আরো বেশি কাজ করার জন্য আগ্রহী হবে । রাষ্ট্রপতির হাত থেকে তারা এই পদক নিচ্ছেন , যা তাদেরকে এবং কৃষি সেক্টরে কাজ করা মানুষকে উৎসাহিত করবে। সর্বোপরি কৃষিক্ষেত্রকে উন্নয়নের জন্যই এই পদক দেয়া”।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে কৃষি সংশ্লিষ্ট মোট ৬ টি ক্যাটাগরিতে কেআইবি কৃষি পদক দেয়া শুরু হয়। এবার ২০১৭ এবং ২০১৮ , এই দুই বছরের পদক একসাথে দেয়া হবে । কেআইবি কৃষি পদক কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশিদ ভূইয়া বলেন “ ২০১৭ তে ৬ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পদক পাচ্ছেন এবং ২০১৮ তে একটি ক্যাটাগরিতে উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় পদক পাচ্ছেন ৫ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান । কৃষক , কৃষি উন্নয়নে নারী ক্যাটাগরিতে আরো বেশি উপযুক্ত প্রার্থীদের পদক দিতে আমাদের মাঠপর্যায়ের সম্প্রসারন কর্মকর্তাদের আরো বেশি সম্পৃক্ততা প্রয়োজন”।
আজকের এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সভাপতি কৃষিবিদ এ এম এম সালেহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন কেআইবি মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম (প্রিন্স)।
অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের জন্য আমন্ত্রণপত্রটি সাথে আনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের ৩০ মিনিট পূর্বে আসন গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজকরা। এছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে ব্রিফকেস, হ্যান্ড ব্যাগ, ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বহন নিষিদ্ধের কথা আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।