আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঘাসফুলের ব্যতিক্রমী উদ্দ্যেগ

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঘাসফুলের শিখন কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি ) উক্ত কর্মসূচির আয়োজন করে ঘাসফুল। ঘাসফুলের আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের শিখন কেন্দ্রের প্রোগ্রাম সুপারভাইজার, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রভাত ফেরি নিয়ে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মোহাম্মদপুরের বেগম নুরজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

এর পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। চিত্রাঙ্কনে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কলম পুরষ্কার দেওয়া হয়।অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের থেকে ১০জন শিক্ষার্থীর আঁকা ছবি সেরা বলে বিবেচিত হয়। ১০জনকেই পুরষ্কার হিসেবে মধু উপহার দেওয়া হয়।

ঘাসফুলের সুপার ভাইজার বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ কিছু করতে। এই ঝরে পড়া শিশুরা কখনো শহিদ মিনারে ফুল দেয়নি। তারা জানতো না আজকে কি দিবস। ঘাসফুলের শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে তারা আজ এই দিবসের গুরুত্ব ও দেশের প্রতি ভাষা শহিদ’র ত্যাগের কথা জানতে পেরেছে। সুপার ভাইজার সকল জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করার জন্য শিক্ষকদের পরামর্শ দেন।

ঘাসফুলের শিক্ষকরা বলেন, খুবই ভালো লাগছে আমাদের মাধ্যমে এই ঝরে পরা শিশুরা নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার আলো দেখতে পেয়েছে। আজ একটি বিশেষ দিন। এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য আমাদের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছে এবং দিবসটি যথাযথ ভাবে পালন করতে পেরেছে এতেই আমরা আনন্দিত।

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে, আমরা কখনো শহিদ মিনারে ফুল দেইনি। আজকে প্রথম ফুল দিলাম। শিখন কেন্দ্রে আমরা শিখেছি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষার জন্য এই দেশের কত ত্যাগ স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, ঘাসফুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মানুষের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ঘাসফুলের ‘শিখন কেন্দ্র’ উন্নয়নমূলক কাজের অংশ বিশেষ।