গ্রেফতার ও তল্লাশী সম্পর্কিত ধারাগুলো

গ্রেফতার ও তল্লাশী সম্পর্কিত ধারাগুলো

ধারা ৪৬ গ্রেফতারের পদ্ধতি এবং গ্রেফতারে বাধা প্রদান   

ক) কথা অথবা কার্য দ্বারা হেফাজতে আত্মসমর্পন করা না হইলে পুলিশ অফিসার অথবা গ্রেফতারকারী অপর কোন ব্যক্তি গ্রেফতার করিবার সময় যাহাকে গ্রেফতার করা হইতেছে প্রকৃতপক্ষে তাহার দেহ স্পর্শ বা আটক করিবেন।

খ) এইরূপ ব্যক্তি যদি বলপূর্বক তাহাকে গ্রেফতারের চেষ্টায় বাধা দেয় অথবা গ্রেফতার এড়াইতে চেষ্টা করে, তাহা হইলে উক্ত পুলিশ অফিসার অথবা অপর ব্যক্তি গ্রেফতার কার্যকরী করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কৌশল ব্যবহার করিতে পারিবেন।

গ) এই ধারায় এইরূপ কোন অধিকার দেওয়া হয় নাই, যাহাতে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধে অভিযুক্ত নহে, এইরূপ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাইতে পারেন।

ধারা ৪৭ যাহাকে গ্রেফতার করা হইবেতিনি যেই স্থানে প্রবেশ করিয়াছেনসেই স্থান তল্লাশি–   

গ্রেফতারী পরোয়ানা মোতাবেক কার্যরত ব্যক্তি অথবা গ্রেফতারের অধিকারী পুলিশ অফিসারের যদি বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, যেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইবে তিনি কোন স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন বা কোন স্থানের মধ্যে আছেন, তাহা হইলে উক্ত স্থানে বসবাসকারী বা উক্ত স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপরোক্তরুপে কার্যরত ব্যক্তি বা পুলিম অফিসারের দাবিক্রমে তাহাকে অবাধে উক্ত স্থানে প্রবেশ করিতে দিবেন এবং উক্ত স্থানে তল্লাশির জন্য সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ-সুবিধা দিবেন।

ধারা ৪৮ যেইস্থানে প্রবেশ করা যাইতেছে নাসেইখানে প্রবেশের পদ্ধতিদরজা ভাঙ্গিয়া জানানা মহলে প্রবেশ–   

৪৭ ধারা অনুসারে এইরূপ স্থানে প্রবেশ করা না গেলে, অধিকার ও উদ্দেশ্য জ্ঞাপন এবং যথাযথভাবে প্রবেশের দাবি জানানোর পর যদি অন্যভাবে প্রবেশ করা না যায়, তাহা হইলে পরোয়ানা মোতাবেক কার্যরত ব্যক্তি এবং যেইক্ষেত্রে পরোয়ানা জারি হইতে পারে কিন্তু যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে তাহাকে পলায়নের সুযোগ না দিয়া পরোয়ানা সংগ্রহ করা যায় নাম, সেইক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারে পক্ষে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করা এবং প্রবেশের জন্য কোন গৃহ অথবা স্থানের, এইরূপ গৃত অথবা স্থান, যাহাকে গ্রেফতার করা হইতেছে তাহারই হউক বা অপর কোন লোকের হউক, বাহিরে অথবা ভিতরের দরজা ভাঙ্গিয়া ফেলা আইনসঙ্গত হইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ স্থান যদি কোন স্ত্রীলোকের (যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে তিনি নহেন) প্রকৃত অবস্থানের অন্তুর্ভুক্ত কোন কামরা হয় এবং যিনি সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে জনসাধারণের সম্মুখেই আসেন না, তাহা হইলে উক্তরূপ কার্যরত ব্যক্তি অথবা পুলিশ অফিসার উক্ত কামরায় প্রবেশের পূর্বে উক্ত স্ত্রীলোককে জানাইবেন যে, তিনি অবাধে সরিয়া যাইতে পারেন এবং অতঃপর তিনি কামরা ভাঙ্গিয়া তাহাতে প্রবেশ করিতে পারেন।

ধারা ৪৯ মুক্তিলাভের জন্য দরজা  জানালা ভাঙ্গিবার ক্ষমতা   

গ্রেফতারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি অথবা পুলিশ অফিসার গ্রেফতারের জন্য কোন গৃহ অথবা স্থানে আইনসঙ্গভাবে প্রবেশ করিবার পর তথায় আটকা পড়িলে উক্ত গৃহে অথবা স্থানের কোন বাইরের অথবা ভিতরের দরজা অথবা জানালা ভাঙ্গিয়া বাইির হইতে পারেন।

ধারা ৫০ প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ নিষেধ   

পলায়ন প্রতিরোধের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির উপর অবশ্যই তাহা অপেক্ষা অধিক বলপ্রয়োগ করা যাইবে না।

ধারা ৫১ আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি   

যখন পুলিশ অফিসার কোন ব্যক্তিকে এমন পরোয়ানা অনুসারে গ্রেফতার করেন, যাহাতে জামিনের ব্যবস্থা নাই অথবা জামিনের ব্যবস্থা থাকিলেও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জামিন সংগ্রহ করিতে পারেন না। যখন কোন ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা হয় অথবা কোন সাধারণ নাগরিক যখন পরোয়ানা অনুসারে গ্রেফতার করেন এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে আইনত জামিন দেওয়া যায় না, অথবা সে জামিন সংগ্রহ করিতে অসমর্থ হয়-

তখন গ্রেফতাকারী অফিসার অথবা কোন সাধারণ নাগরিক গ্রেফতার করিলে তিনি গ্রেফতারকৃত  ব্যক্তিকে যাহার নিকট অর্পণ করেন সেই পুলিশ অফিসার তাহার দেহ তল্লাশি করিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় পরিধেয় বস্ত্র ব্যতীত তাহার নিকট যাহা পাওয়া যাইবে, তাহান নিরাপদে হেফাজতে রাখিতে পারেন।

ধারা ৫৪ যখন পুলিশ পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারেন   

ক) যেকোন পুলিশ অফিসার ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ অথবা পরোয়ানা ব্যতীত নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণকে গ্রেফতার করিতে

পারেন-

প্রথমত      কোন আমলযোগ্য অপারাধের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি অথবা এইরূপে জড়িত বলিয়া যাহার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ করা হইয়াছে অথবা বিশ্বাসযোগ্য খবর পাওয়া গিয়াছে অথবা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রহিয়াছে।

দ্বিতীয়ত আইনসঙ্গত অজুহাত ব্যতীত যাহার নিকট ঘর ভাঙ্গিবার কোন সরঞ্জাম রহিয়াছে সেইরূপ ব্যক্তি (এই আইনসঙ্গত অজুহাত প্রমাণ করিবার দায়িত্ব তাহার)

তৃতীয়ত এই কার্যবিধি অনুসারে অথবা সরকারের আদেশ দ্বারা যাহাকে অপরাধী বলিয়া ঘোষনা করা হইয়াছে।

চতুর্থত চোরাই বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যাইতে পারে- এইরূপ মাল যাহার নিকট রহিয়াছে এবং যে এইরূপ মাল সম্পর্কে কোন অপরাধ করিয়াছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গভাবে সন্দেহ করা যাইতে পারে।

পঞ্চমত পুলিশ অফিসারকে তাহার কার্যে বাধা দানকারী ব্যক্তি অথবা যেই ব্যক্তি আইনসঙ্গত হেফাজত হইতে পলায়ন করিয়াছে, অথবা পলায়নের চেষ্টা করে।

ষষ্ঠত– বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হইতে পলায়নকারী বলিয়া তাহাকে যুক্তিসঙ্গভাবে সন্দে করা যাইতে পারে।

সপ্তমত বাংলাদেশে করা হইলে অপরাধ হিসেবে শাস্তিযোগ্য হইত। বাংলাদেশের বাইরেকৃত এইরূপ কোন কার্যের সহিত জড়িত ব্যক্তি অথবা এইরূপ জড়ি বলিয়া যাহার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ করা হইয়াছে অথবা বিশ্বাসযোগ্য খবর পাওয়া গিয়াছে অথবা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রহিয়াছে এবং যাহার জন্য সে প্রত্যর্পন- সম্পর্কিত কোন

আইন অথবা ১৮৮১ সালের পলাতক অপরাধিী আইন অনুসারে অথবা অন্য কোনভাবে বাংলাদেশে গ্রেফতার হইতে অথবা হেফাজতে আটক রাখিতে বাধ্য।

অষ্টমত– কোন মুক্তিপ্রাপ্ত আসামী যে ৫৬৫ ধারায় (৩) উপধারা অনুসারে নিয়ম লংঘন করে।

নবমত- যাহাকে গ্রেফতারের জন্য অপর কোন পুলিশ অফিসারের নিকট হইতে অনুরোধপত্র পাওয়া গিয়াছে যদি যাহাকে গ্রেফতার করা হইবে তাহার এবং যেই অপরাধ অথবা অন্য যেই কারণে গ্রেফতার করা হইবে সেই সম্পর্কে উক্ত পত্রে সুস্টষ্ট তথ্য থাকে এবং তাহা হইতে প্রতিয়মান হয় যে, যিনি অনুরোধ প্রেরণ করিয়াছেন। সেই অফিসার উক্ত ব্যক্তিকে আইনসঙ্গভাবে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করিতে পারেন।

ধারা ৯৬ কখন তল্লাশি পরোয়ানা দেওয়া যাইতে পারে   

ক) যখন কোন আদালতের এইরূপ বিশ্বাস করিবার করাণে ঘটে যে, যেই ব্যক্তির উপর ১৪ ধারা অনুসারে কোন সমন বা আদেশ অথবা ৯৫ ধারায় (১) উপধারা অনুসারে কোন  রিকুইজিশন প্রেরণ করা হইয়াছে বা হইতে পারে, সেই ব্যক্তি সমন বা রিজুইজিশনে বর্ণিত দলিল বা বস্তু দাখিল করিবেন না অথবা

যখন এইরূপ দলিল বা বস্তু কোন ব্যক্তির দখলে আছে  বলিয়া আদালতের জানা নাই অথবা

যখন আদালত মনে করে যে, সাধারণ তল্লাশি বা পরিদর্শন দ্বার এই কার্ডবিধি অনুসারে পরিচালিত কোন তদন্ত, বিচার বা অন্য কোন কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে সাধিত হইবে।

তখন আদালত তল্লাশি পরোয়ানা প্রদান করিতে পারেন এবং যে ব্যক্তির প্রতি এই পরোয়ানা নির্দেশিত হইবে তিনি পরোয়ানা ও অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুসারে তল্লাশি বা পরিবর্ধন করিতে পারিবেন।

খ) এই আইনে বর্ণিত কোন বিধান জেলা ম্যাজিস্ট্যাটের বা চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে ডাক বা তার কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রক্ষিত কোন দলিল, পার্সেল বা অন্য কোন বস্তু তল্লাশির জন্য পরোয়ানা মঞ্জুর করিবার কর্তৃত্ব দিবে না।

ধারা ১০০ বেআইনীভাবে আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি   

যখন কোন মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ ঘটে যে, কোন ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতিতে আটক রাখা হইয়াছে যাহাতে আটক রাখা অপরাধে পরিণত হয়। তখন তিনি তল্লাশি পরোয়ানা প্রদান করিতে পারেন এবং যাহার প্রতি পরোয়ানা নির্দেশিত হইবে, তিনি পরোয়ানা অনুসারে উক্ত আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে যদি পাওয়া যায়, তাহা হইলে অবিলম্বে তাহাকে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করিতে হইবে, এবং তিনি ঘটনার পরিস্থিতি অনুসারে উপযুক্ত আদেশ দিবেন।

ধারা ১০১ তল্লাশি পরোয়ানার নির্দেশ প্রভৃতি   

৪৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮২, ৮৩  ও ৮৪ ধারার বিধানসমূহ যথাসম্ভব ৯৬, ৯৮, ৯৯-ক ও ১০০ ধারা অনুসারে প্রদত্ত তল্লাশি পরোয়ানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

ধারা ১০২ আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তল্লাশি করিতে দিবেন   

ক) এই অধ্যায় অনুসারে তল্লাশি বা পরির্দশনযোগ্য কোন স্থান যদি বন্ধ থাকে তাহা হইলে তথায় বসবাসকারী বা উক্ত স্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, পরোয়ানা কার্যকারী অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি দাবি করিলে ও পরোয়ানা দেখাইলে তাহাকে অবাধে তথায় প্রবেশ করিতে দিবেন ও তল্লাশির সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুবিধা দিবেন।

খ) যদি উক্ত স্থানে প্রবেশ করা না যায়, তাহা হইলে উক্ত অফিসার বা পরোয়ানা প্রয়োগকারী অন্য কোন ব্যক্তি ৪৮ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে অগ্রসর হইতে পারেন।

গ) যে বস্তু সম্পর্কে তল্লাশি হওয়া উচিত, উক্ত স্থানে বা স্থানের নিকট কোন ব্যক্তি উক্ত বস্তু তাহার দেহে লুকাইয়া রাখিতেছে বলিয়া যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির দেহ তল্লামি করা যাইতে পারে। উক্ত ব্যক্তি স্ত্রীলোক হইলে ৫২ ধারার নির্দেশাবলী অনুসরণ করিতে হইবে।

ধারা ১০৩ সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাইতে হইবে   

ক) এই অধ্যায় অনুসারে তল্লাশি করিবার পূর্বে তল্লাশি করিতে উদ্যত অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি, যেইস্থানে তল্লামি করা হইবে সেই এলাকার দুইজন বা ততোধিক সম্মানিত অধিবাসীকে তল্লাশিতে হাজির থাকিতে ও উহার সাক্ষী হইতে আহ্বান জানাইবেন এবং এইরূপ করিবার জন্য তাহাদিগকে বা তাহাদের যেকোন একজনের প্রতি লিখিত আদেশ দিতে পারিবেন।

খ) তাহাদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করিতে হইবে এবং উক্ত অফিসার বা অন্য ব্যক্তি তল্লাশির সময় আটক সমস্ত জিনিস ও যে যে স্থানে সেইগুলি পাওয়া গিয়াছে উহার একটি তালিকা প্রস্তুত করিবেন এবং উক্ত সাক্ষীগণ তালিকায় দস্তখত করিবেন। তবে আদালত যদি বিশেষভাবে সমন দিয় তলব না করেন, তাহা হইলে এই ধারা অনুসারে পরিচালিত তল্লাশির কোন সাক্ষীকে উক্ত তল্লাশির সাক্ষী হিসাবে আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না।

যেই স্থানে তল্লাশি করা হয় তথায় উহার বাসিন্দা উপস্থিত থাকিতে পারেন-

গ) তল্লাশিকৃত স্থানের দখলকারী ব্যক্তি অথবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তল্লাশি সময় হাজির থাকিবার অনুমতি দিতে হইবে এবং উক্ত দখলকারী ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধি অনুরোধ করিলে তাহাকে এই ধারা অনুসারে প্রণীত ও উপরোক্ত সাক্ষীগণের স্বাক্ষরিত তালিকার একটি নকল দিতে হইবে।

ঘ) যখন ১০২ ধারার (৩) উপধারা অনুসারে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করা হইবে, তখন যেই সকল জিনিসের দখল গ্রহণ করা হইল উহার একটি তালিকা প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি অনুরোধ করিলে তাহাকে উহার একটি নকল দিতে হইবে।

ঙ) লিখিত আদেশ দ্বারা আহ্বান জানানো সত্ত্বেও যে ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত এই ধারা অনুসারে পরিচালিত কোন তল্লাশিতে হাজির হইতে ও সাক্ষী হইতে অস্বীকার বা অবহেলা করেন, তিনি দন্ডবিধির ১৮৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। তথ্যসূত্রঃঅনলাইনঢাকা