১। নাম
এ দলের নাম হবে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’।ইংরেজীতে এ সংগঠনকে ‘Bangladesh Nationalist Party’ (BNP) এবং সংক্ষেপে এ দলটিকে ‘জাতীয়তাবাদী দল’এবং ‘বিএনপি’ বলে অভিহিত করা হবে।এ দলের জাতীয় কার্যালয় তথা কেন্দ্রীয় সদর দফতর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হবে এবং দলের সদর দফতর বা কেন্দ্রীয় অফিসের সংগঠন চেয়ারম্যানের দায়িত্বাধীন থাকবে এবং অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পদবী, দায়-দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ারম্যান নিজে নিরূপণ করবেন।
২।উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
জাতীয়তাবাদী দলের ঘোষণাপত্রে এ দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে।সংক্ষেপে এ দলের কয়েকটি মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নীচে বর্ণিত হলোঃ
(ক) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভোমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত ও সুসংহত করা।
(খ) ঐক্যবদ্ধ এবং পুনরুজ্জীবিত জাতিকে অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, নয়া-উপনিবেশবাদ, আধিপত্যবাদ ও বহিরাক্রমণ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা।
(গ) উৎপাদনের রাজনীতি,মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্রের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন।
(ঘ) জাতীয়তাবাদী ঐক্যের ভিত্তিতে গ্রামে-গঞ্জে জনগণকে সচেতন ও সুসংগঠিত করা এবং সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প রচনা ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা ও দক্ষতা জনগণের হাতে পোঁছে দেওয়া ।
(ঙ) এমন এক সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্তরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয় ।
(চ) এমন একটি সুস্পষ্ট ও স্থিতিশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দেওয়া যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাঁদের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি আনতে পারবেন।
(ছ) বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করা এবং সুষম জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনয়ন।
(জ) গণতান্ত্রিক জীবন ধারা ও গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসাবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপণ করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা।
(ঝ) রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোন সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজেন্সী গঠনে অস্বীকৃতি জানানো ও তার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা ।
(ঞ ) জাতীয় জীবনে মানবমূখী সামাজিক মূল্যবোধের পূনরুজ্জীবন এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনা ।
(ট) বাস্তবধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ন্যায় বিচার ভিত্তিক সুষম অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা, যাতে করে সকল বাংলাদেশী নাগরিক অন্ন, বস্ত্র,স্বাস্থ্য,বাসস্থান ও শিক্ষার ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায় ।
(ঠ) সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার দান করা ও সক্রিয় গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
(ড) নারী সমাজ ও যুব সম্প্রদায়সহ সকল জনসম্পদের সুষ্ঠু ও বাস্তবভিত্তিক সদ্ব্যবহার করা।
(ঢ) বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপণা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা।
(ণ) বাংলাভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও বাংলাদেশের ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রসার সাধন ।
(ত) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশী জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দান করে বাংলাদেশের জনগণের যুগপ্রাচীন মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা, বিশেষ করে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর জাতীয় জীবনে তাদের অধিকতর সুবিধা ও অংশগ্রহণের সুযোগের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
(থ) পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সমতা রক্ষা করা।সার্বভোমত্ব ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সংগে,তৃতীয় বিশ্বের মিত্র রাষ্ট্রসমূহের সাথে এবং ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সংগে প্রীতি ও সখ্যতার স¤পর্ক সুসংহত এবং সুদৃঢ করা।
৩।দলের পতাকা
এই দলের পতাকার উর্দ্ধার্ধ লাল এবং নিুার্ধ সবুজ রংয়ের হবে।পতাকার মধ্যস্থলে কালো রংয়ের একটি শিল্পচক্র থাকবে।এই চক্রবৃত্তের বিন্দু থেকে লাল সবুজের সঙ্গমস্থলে উদ্ভুত হবে একছড়া সোনালী ধানের শীষ এবং প্রসারিত হবে উপরের দিকে।ধানের শীষের উপরে থাকবে একটি শ্বেত বর্ণের তারকা।সবুজ হচ্ছে দেশের প্রতীক; লাল হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ত্যাগের প্রতীক;শিল্পচক্র হচ্ছে উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতীক;ধানের শীষ হচ্ছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক এবং শ্বেত বর্ণের তারকা হচ্ছে আমাদের জাতীয় আশা- আকাঙ্খার প্রতীক।
৪।শব্দার্থ
(ক) ‘ওয়ার্ড’, ‘ইউনিয়ন’, ‘উপজেলা/থানা’, ‘পৌরসভা’, ‘মহানগর’ এই শব্দগুলো বাংলাদেশ সরকার/নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দেওয়া অর্থই বোঝাবে।
(খ) ‘গঠনতন্ত্র’ শব্দটি অপ্রাসঙ্গিক না হলে দলের গঠনতন্ত্রকেই বোঝাবে।
(গ) যদি গঠনতন্ত্রে অন্যভাবে বোঝানো না হয়ে থাকে তবে ‘জেলা’ বলতে প্রশাসনিক জেলা বোঝাবে ।
(ঘ) চেয়ারম্যান শব্দটি ক্ষেত্র বিশেষে চেয়ারপার্সনকেও বোঝাবে ।
(ঙ) ‘দল’ শব্দটি ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’কে বোঝাবে ।
(চ) ‘সদস্য’ শব্দটি যদি ‘কমিটির’ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহƒত না হয়ে থাকে তা হলে দলের প্রাথমিক সদস্যকে বোঝাবে ।
৫।সদস্য পদ
(ক) সদস্য পদ লাভের যোগ্যতাঃ
(১) ১৮ বছর বা ততোধিক বয়সের যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক এ দলের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবে।ইচ্ছুক ব্যাক্তিদেরকে সংগঠনের ঘোষনাপত্রের, গঠনতন্ত্র ও কর্মসূচীর প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে হবে।
(২) প্রাথমিক সদস্য পদের আবেদনপত্র এই গঠনতন্ত্রের তপশীল ১-এ ‘ক’ ফরমে করতে হবে।এই ফরম দলের অফিসে পাওয়া যাবে।সদস্য পদের আবেদনপত্র অন্য কোন ফরমে গ্রহণযোগ্য হবে না তবে কোন সময় যদি এই ফরম দলের অফিসে না পাওয়া যায় তাহলে অনুরুপ ফরম ছাপিয়ে নিয়ে সদস্য পদের আবেদন করা যেতে পারে।
(৩) বিবেচনার পর আবেদনপত্র গৃহীত হলে সদস্য পদের প্রমাণস্বরুপ পরিচয়পত্র (তপশীল-১) ‘খ’ ফরমে প্রত্যেক সদস্যকে দিতে হবে।
(৪) এ দলের প্রাথমিক সদস্য চাঁদা ৫/= (পাঁচ) টাকা মাত্র।সদস্য পদ লাভের পরবর্তী বছর থেকে দলের বাৎসরিক চাঁদা ৫/= (পাঁচ) টাকা মাত্র ।সদস্যদের চাঁদা রসিদ মারফত গৃহীত হবে এবং রসিদ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা হবে।
(৫) প্রত্যেকটি উপজেলা/থানা অফিস তাঁদের স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যেক প্রাথমিক সদস্য পদের তালিকা সংরক্ষণ করবেন।জাতীয় সদর দফতরে অর্থাৎ দলের ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় অফিসে দলের সর্বমোট সদস্য সংখ্যা,সদস্যদের নাম ও ঠিকানাসহ বিধি সম্মতভাবে সংরক্ষিত হবে।
(খ) সদস্য পদ লাভের অযোগ্যতাঃ
(১) বাংলাদেশের আইনানুগ নাগরিক নন এমন কোন ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবেন না ।
(২) বাংলাদেশের স্বাধীনতায়, সার্বভোমত্ব ও অখন্ডতার বিরোধী, গোপণ সশস্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যাক্তি বা সমাজ বিরোধী ও গণবিরোধী কোন ব্যক্তিকে এই সংগঠনের সদস্য পদ দেয়া হবে না।
(গ) সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ
দলের স্থায়ী কমিটি দলের কোন সদস্যের অসদাচরণের কারনে কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে কিংবা দলের নীতি ও আদর্শবিরোধী কোন কর্মকান্ডের কারনে তার সদস্যপদ বাতিল কিংবা সাময়িকভাবে সদস্যপদ স্থগিত কিংবা তার বিরুদ্ধে অন্য যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঙ্গত কারনে পুর্বে নেয়া যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবে।কোন কারণে স্থায়ী কমিটির সভা আহ্বান করা সম্ভব না হলে জরুরী প্রয়োজনে দলের চেয়ারম্যান নিজ বিবেচনায় শাস্তিযোগ্য মনে করলে যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ এবং পুর্বে নেয়া যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
তবে সকল ক্ষেত্রে যথাশীঘ্র সম্ভব জাতীয় স্থায়ী কমিটির অনুমোদন নিতে হবে।চেয়ারম্যান অথবা স্থায়ী কমিটি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পুর্বে প্রয়োজনবোধে অভিযুক্ত সদস্যকে ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ দিতে পারবেন।সে ক্ষেত্রে একটি নোটিশ ডাকে কিংবা তার হাতে হাতে জারী করতে হবে।শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় সংক্ষুদ্ধ ব্যাক্তি শাস্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলের চেয়াম্যানের বরাবরে আপিল করতে পারবেন এবং এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
(ঘ) সদস্যপদ থেকে পদত্যাগঃ
(১) দলের যে কোন সদস্য দলের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত চিঠির মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন।
(২) দল কর্তৃক মনোনীত কোন সংসদ সদস্য যদি সংসদে দলের সংসদীয় দলের নেতা/নেত্রীর সম্মতি ছাড়া নিজের নির্দিষ্ট আসন পরিবর্তন করেন বা অন্যদলের সাথে জোট বাঁধেন বা ফ্লোরক্রস করেন বা সংসদের দলীয় অবস্থানের পরিপন্থী কোন কাজ করেন তাহলে উপরোক্ত যে কোন কার্যের কারণে সেই সংসদ সদস্য এই দল থেকে তাৎক্ষনিকভাবে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবেন।
৬ । (ক) সাংগঠনিক নীতিমালা ও কাঠামো
জাতীয়তাবাদী দল দেশের মৌলিক স্তর ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সংগঠিত হয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে।দলের সাংগঠনিক কাঠামো নিুরুপ হবে:
(১) ইউনিয়নের ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
(২) পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল ও পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
(৩) ইউনিয়ন কাউন্সিল ও ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
(৪) উপজেলা/থানা কাউন্সিল ও উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি
(৫) পৌরসভা কাউন্সিল ও পৌরসভা নির্বাহী কমিটি
(৬) জেলা কাউন্সিল ও জেলা নির্বাহী কমিটি
(৭) মহানগর ওয়ার্ড কাউন্সিল ও মহানগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
(৮) মহানগর থানা কাউন্সিল ও মহানগর থানা নির্বাহী কমিটি
(৯) মহানগর কাউন্সিল ও মহানগর নির্বাহী কমিটি
(১০) জাতীয় কাউন্সিল
(১১) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
(১২) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
(১৩) পার্লামেন্টারী বোর্ড
(১৪) পার্লামেন্টারী পার্টি
(১৫) প্রবাসে সংগঠন
(খ) সাংগঠনিক কাঠামোর গঠন প্রণালী
(১) ইউনিয়নের ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
প্রতি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে নূন্যতম ১০০জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের কাউন্সিল গঠিত হবে।এ কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, দুই জন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক,একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত অনুর্দ্ধ ৫১ জনের একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন।ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি এ কমিটির অনুমোদন দিবে।
(২) পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল ও পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
প্রতিটি জেলার বা পৌরসভাভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যুনতম ১৫০ জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে।এ কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ‘৭১ জনের অনুর্দ্ধ’ একটি পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন।এ কমিটি দলের ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে।পৌরসভা নির্বাহী কমিটি এ কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৩) ইউনিয়ন কাউন্সিল ও ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
ইউনিয়নভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ সমন্বয়ে গঠিত হবে দলের ইউনিয়ন কাউন্সিল ।এ কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি,তিনজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন-সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,একজন দপ্তর সম্পাদক,একজন প্রচার সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৭১ জনের অনুর্দ্ধ একটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন।উপজেলা/থানা কমিটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৪) উপজেলা/থানা কাউন্সিল ও উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি
উপজেলা/থানাভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ নিয়ে দলের উপজেলা/থানা কাউন্সিল গঠিত হবে।এ কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক,দুইজন যুগ্ন সম্পাদক,একজন সাংগঠনিক সম্পাদক,দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১০১ জনের অনুর্দ্ধ একটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে।জেলা কমিটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৫) পৌরসভা কাউন্সিল ও পৌরসভা নির্বাহী কমিটি
প্রত্যেকটি পৌরসভাভূক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দকে নিয়ে দলের পৌরসভা কাউন্সিল গঠিত হবে।এ কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন — সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১০১ জনের অনুর্দ্ধ একটি পৌরসভা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন।এ নির্বাহী কমিটি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে।জেলা কমিটি এই কমিটির অুনমোদন দিবে।
(৬) জেলা কাউন্সিল ও জেলা নির্বাহী কমিটি
দলের জেলা কাউন্সিল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জেলাভূক্ত প্রতিটি উপজেলা/থানার ও পৌরসভার নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে।দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, সাতজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক, একজন সহ-প্রচার সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১৫১ জনের অনুর্দ্ধ একটি জেলা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে।চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে মহাসচিব জেলা কমিটির অনুমোদন দেবেন।
(৭) মহানগর ওয়ার্ড কাউন্সিল ও মহানগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল মহানগরীভুক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১৫০ জন প্রাথমিক সদস্যদের নিয়ে উপরোক্ত প্রতিটি মহানগরে দলের ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে।দুই বছর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৭১ জনের অনুর্ধ্ব একটি মহানগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি উক্ত কাউন্সিল নির্বাচিত করবেন।এ কমিটি দলের ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে।মহানগর থানা নির্বাহী কমিটি এ কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৮) মহানগর থানা কাউন্সিল ও মহানগর থানা নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এই প্রতিটি মহানগরের অন্তর্ভূক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্বাহী কমিটি সদস্যবৃন্দদের নিয়ে সেই মহানগরে দলের মহানগর থানা কাউন্সিল গঠিত হবে।এই কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ — সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১২১ জনের অনুর্ধ্ব একটি মহানগর -থানা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন।মহানগর নির্বাহী কমিটি এ কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৯) মহানগর কাউন্সিল ও মহানগর নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এই প্রতিটি মহানগরের অন্তর্ভূক্ত প্রতিটি থানা নির্বাহী কমিটি সদস্যদের নিয়ে সেই মহানগরে দলের মহানগর কাউন্সিল গঠিত হবে ।এই কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে একজন সভাপতি, সাতজন সহ-সভাপতি,একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ন সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ — সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক, একজন সহ-প্রচার সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১৭১ জনের অনুর্দ্ধ একটি মহানগর নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে।দলের মহানগর নির্বাহী কমিটি দলের জেলা নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে।চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে দলের মহাসচিব মহানগর নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দেবেন।
নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় কাউন্সিলসমূহ স্ব-স্ব এলাকায় প্রয়োজনবোধে জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে যে সব বিষয়ে সম্পাদকীয় পদ রয়েছে তার মধ্য থেকে সংশ্লিষ্ট কমিটির কর্মকান্ডের জন্য প্রয়োজন এমন বিষয়সমূহের জন্য এক বা একাধিক সম্পাদক নির্বাচিত করতে পারেন, যদিও কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা কোনক্রমেই যার যার এলাকা-কমিটির সীমিত সংখ্যা অতিক্রম করতে পারবে না।
২০২০ সালের মধ্যে সকল কমিটিতে মহিলা সদস্য সংখ্যা শতকরা ৩৩ ভাগে উন্নীত করতে হবে।
দলের নির্বাচিত বিভিন্ন নির্বাহী কমিটিসমূহ স্ব স্ব এলাকায় দলের কর্মসূচী বাস্তবায়ন, তদারক ও নিয়ন্ত্রন করবেন।
(১০) জাতীয় কাউন্সিল
(ক) ‘জাতীয় কাউন্সিল’ নামে দলের একটি জাতীয় কাউন্সিল থাকবে যার গঠন পদ্ধতি নিুরুপ হবেঃ
(১) প্রতি উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটির (মহানগর থানাসহ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক;
(২) প্রতি পৌরসভার নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক;
(৩) প্রতি জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক;
(৪) প্রতি মহানগর নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক;
(৫) প্রতি জেলা ও মহানগর নির্বাহী কমিটি কর্তৃক মনোনীত প্রতি জেলা ও মহানগর হতে দুইজন মহিলা সদস্য;
(৬) পার্লামেন্টারী পার্টির সদস্যবৃন্দ;
(৭) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ;
(৮) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ;
(৯) চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উপরে বর্ণিত ১ হতে ৮ এর মোট
সদস্য সংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ ।
(খ) জাতীয় কাউন্সিলের দায়িত্ব ও ক্ষমতা নিুরুপ হবেঃ
(১) জাতীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ও প্রবর্তিত দলের নীতি ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও কার্যকরী করা;
(২) দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যগণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
(৩) দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা;
(৪) দলের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত যে কোন বিষয় বিবেচনা করা;
(৫) মহাসচিবের রিপোর্ট বিবেচনা করা ও গ্রহণ করা;
(৬) জাতীয় কাউন্সিলের ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) সদস্যদের প্রস্তাবিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা।
(গ) বিষয় কমিটি
দলের চেয়ারম্যান গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনবোধে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দের মধ্য থেকে কয়েকজন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন বিষয় কমিটি মনোনীত করতে পারবেন।অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যে সমস্ত বিষয়ে এ ধরণের কমিটি গঠিত হতে পারে সেগুলো হচ্ছেঃ জাতীয় পরিকল্পনা ও অর্থ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ; বন্যা নিয়ন্ত্রণ;পল্লী উন্নয়ন, খাদ্য ও কৃষি, নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও শিক্ষা, শ্রম কল্যাণ, মহিলা, যুব সম্প্রদায়, আন্তর্জাতিক বিষয় ও শিশু কল্যাণ।এই সমস্ত কমিটি সমূহে দলের সদস্য নন অথচ বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শী, যোগ্যতাস¤পন্ন ও সুদক্ষ এমন ব্যাক্তিদেরকেও কো-অপ্ট করা যাবে, তবে কোন অবস্থাতেই এদের সংখ্যা কমিটির নির্ধারিত মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশী হবে না।কমিটিতে কো-অপ্ট করা সদস্যবৃন্দ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা লাভ করবেন।
(১১) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
জাতীয় নির্বাহী কমিটি অনুর্ধ্ব ৩৫১ জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে।তবে দলের চেয়ারম্যান কর্মকর্তা বা সদস্যদের সংখ্যা নিরূপণে বিশেষ ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে পারবেন কিন্তু মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫১ জনের উর্ধ্বে দশ শতাংশের বেশী বৃদ্ধি করা যাবেনা।প্রত্যেক জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও প্রত্যেক মহানগর নির্বাহী কমিটির সভাপতি তাঁদের পদাধিকার বলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থাকবেন।জাতীয় নির্বাহী কমিটির মোট সদস্যের শতকরা ১০ ভাগ মহিলা সদস্য হতে হবে এবং আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৩৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে।এই কমিটিতে মোট সংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ সদস্য শ্রমিক,মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক, উপজাতি ও সমাজের অন্যান্য স্তরের প্রতিনিধিদের মধ্যে হতে নিতে হবে।
জাতীয় নির্বাহী কমিটি নিম্নলিখিত কর্মকর্তাসহ দলের জাতীয় কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হবেন।তবে এই কমিটির অন্ততঃ এক-তৃতীয়াংশ জাতীয় কাউন্সিল থেকে নিতে হবে।এই কমিটি ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হবে এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত পরবর্তী জাতীয় নির্বাহী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্য্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
চেয়ারম্যান — ১ জন
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান — ১ জন
ভাইস চেয়ারম্যান — ১৭ জন
মহাসচিব — ১ জন
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব — ১ জন
যুগ্ম মহাসচিব — ৭ জন
দফতর সম্পাদক — ১ জন
কোষাধক্ষ্য — ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক — ৬ জন
সম্পাদক – বিশেষ দায়িত্বে — ১ জন
প্রচার সম্পাদক — ১ জন
সম্পাদক, আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিষয়ক — ৭ জন
সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, আইন বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, শিক্ষা বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, সমাজ কল্যান বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, যুব বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, স্থানীয় সরকার বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, শিল্প বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, অর্থনৈতিক বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, ক্রীড়া বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, প্রশিক্ষন বিষয়ক — ২ জন
সম্পাদক, ছাত্র বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, শ্রমিক বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, কৃষি বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, গণশিক্ষা বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, ধর্ম বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, পরিবার কল্যাণ বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, সমবায় বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, গ্রাম সরকার বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, প্রকাশনা বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, স্বনির্ভর বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, তাঁতী বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, শিশু বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, মানবাধিকার বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, উপজাতী বিষয়ক — ১ জন
সম্পাদক, মৎসজীবি বিষয়ক — ১ জন
উপ-কোষাধ্যক্ষ — ১ জন
সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক — ৬ জন
সহঃ দফতর সম্পাদক — ৩ জন
সহঃ প্রচার সম্পাদক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, আইন বিষয়ক — ৩ জন
সহঃ সম্পাদক, শিক্ষা বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, ক্রীড়া বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, যুব বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক — ২ জন
সহঃ সম্পাদক, ধর্ম বিষয়ক — ৩ জন
সহঃ সম্পাদক, ছাত্র বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, শ্রমিক বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, কৃষি বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, সমবায় বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, শিল্প বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, প্রকাশনা বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক — ৩ জন
সহঃ সম্পাদক, গ্রাম সরকার বিষয়ক — ১ জন
সহঃ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার বিষয়ক — ১ জন
জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্তব্য ও দায়িত্ব নিম্নরুপ হবেঃ
(ক) দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটির কর্তব্য ও দায়িত্বের নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করা।
(খ) প্রয়োজন বোধে কমিটির কর্মকর্তা/সদস্যের বিরুদ্ধে শ্বাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা।
(গ) দলের কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও তদুদ্দেশ্যে প্রস্তাব গ্রহণ ও নির্দেশ প্রদান করা।
(ঘ) বৈধতা প্রশ্নে কমিটি সমূহের অন্তর্দ্বন্দ মেটানো ।
(ঙ) একই ব্যক্তির দলের একাধিক স্তরে সভাপতি কিম্বা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হতে নিরুৎসাহিত করা।
(চ) দলের অংগ সংগঠনসমূহের কার্যকলাপের তদারক, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করা ।
(ছ) জাতীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশে অন্যান্য কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করা।
প্রতি ছয় মাসে অন্ততঃ একবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে তবে প্রয়োজনবোধে যে কোন সময় কমিটির সভা চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে ডাকা যেতে পারে।যে বছর জাতীয় কাউন্সিল হবে সে বছর ব্যতীত প্রতি বছর অন্ততঃ একবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির বর্দ্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
(১২) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
দলের চেয়ারম্যান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও মহাসচিব জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।তাঁদের সহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে মোট ১৯জন।চেয়ারম্যান স্বয়ং এ কমিটির প্রধান থাকবেন।জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ তাদের পদাধিকার বলে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য বলে গণ্য হবেন।জাতীয় স্থায়ী কমিটি নিুোক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেনঃ
(ক) দলের প্রধান নীতি নির্ধারক অঙ্গ হিসাবে এ কমিটি দলের নীতি ও কর্মসূচী প্রনয়ণ ও প্রবর্তন করবে।
(খ) একমাত্র চেয়ারম্যানের অপসারণ ব্যতীত দলের অন্যান্য সকল পর্য্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে গৃহীত সমস্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পূণর্বিচারের ক্ষমতা এ কমিটির থাকবে।
(গ) এ কমিটির প্রয়োজনবোধে দলের ঘোষনাপত্র, গঠনতন্ত্র বিধি, উপবিধি ও ধারায় যথাযথ সংগতিপূর্ণ ব্যাখ্যা করবে এবং সে ব্যাখ্যা চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
(ঘ) দলের সদস্যরা যাতে দলের ঘোষনাপত্র, গঠনতন্ত্র, ধারা, উপধারা, বিধি ও উপবিধির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন এবং মেনে চলে এ কমিটি সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবে।
(ঙ) এ কমিটি দলের প্রচারপত্র ও অন্যান্য প্রকাশনার অনুমোদন দান করবেন এবং এ কমিটির অনুমোদন ব্যতীত দলের কোন প্রচারপত্র বা প্রকাশনা প্রকাশ বা বিতরণ করা চলবে না।
(চ) এ কমিটি গ্রাম পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত যে কোন নির্বাহী কমিটির কাজ সাময়িকভাবে মূলতবী রাখার নির্দেশ দিতে পারবে কিংবা প্রয়োজন বোধে তা বাতিল করে দিয়ে পূণঃ নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারবে।
পূণঃ নির্বাচনের জন্য স্থায়ী কমিটি একজন আহবায়ক বা বিশেষ ক্ষেত্রে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কমিটির পূণ:গঠন ও পুণ:নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারবে।
(ছ) এ কমিটি জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং বিষয় কমিটি সমূহের আওতাভূক্ত যে কোন বিষয়ের উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য উক্ত কমিটিসমূহকে নির্দেশ দিতে পারবে।
(জ) এ কমিটি জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটি সমূহের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও তদারক করবে।
(১৩) পার্লামেন্টারী বোর্ড
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিংবা অন্য যে কোন নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থী মনোনয়নের জন্য দলের একটি পার্লামেন্টারী বোর্ড থাকবে।দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটিই হবে দলের পার্লামেন্টারী বোর্ড ।তবে যে জেলার প্রার্থী মনোনয়নের জন্য পার্লামেন্টারী বোর্ডের সভা আহুত হবে সেই জেলার সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদক উক্ত সভায় পার্লামেন্টারী বোর্ডের সদস্য বলে গণ্য করা হবে।তবে কোন সদস্য যদি নির্বাচন প্রার্থী হন তাঁর নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী বিবেচনাকালে বোর্ডের সভায় তিনি অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না।দলের চেয়ারম্যান হবেন পার্লামেন্টারী বোর্ডের সভাপতি।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিংবা যে কোন নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টারী বোর্ড পালন করবেন এবং এ ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
তবে পার্লামেন্টারী বোর্ড সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা/থানা অথবা জেলা কমিটি (যদি থাকে) কর্তৃক প্রণীত প্রার্থী প্যানেল হইতে চুড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত করবে।
(১৪) পার্লামেন্টারী পার্টি
জাতীয় সংসদে দলের সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে দলের পার্লামেন্টারী পার্টি।দলের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে এ পার্টি তার নেতা, উপনেতা, চীফ হুইপ ও অন্যান্য হুইপদের নির্বাচিত করবেন।পার্লামেন্টারী পার্টির সদস্যবৃন্দ পদাধিকার বলে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হবেন।
(১৫) প্রবাসে সংগঠন
প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশীগণের মধ্যে যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীতে বিশ্বাস করেন তাঁরা যেসব দেশে স্থায়ী কিম্বা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করেন সেসব দেশের প্রচলিত আইনে সংগঠন প্রতিষ্ঠা/পরিচালনা করতে পারবেন।
(১৬) চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিল
চেয়ারম্যানকে বিশেষ বিষয়ে পরামর্শের জন্য সহ-সভাপতির পদ মর্যাদায় ১৫ জন উপদেষ্টা থাকবে।তবে বিষেশ প্রয়োজনে চেয়ারম্যান উপরোক্ত সংখ্যা বাড়াতে পারবেন।তারা চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত হবেন এবং পদাধিকার বলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বলে গণ্য হবেন।
(১৭) চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী
চেয়ারম্যান তাঁর দলীয় কার্য্যক্রম পরিচালনায় সহযোগীতা করার জন্য প্রয়োজনবোধে বিশেষ সহকারী নিযুক্ত করতে পারবেন।তিনি নিজেই তাঁর বিশেষ সহকারীদের সংখ্যা এবং দলে তাদের সাংগঠনিক মর্য্যাদা নির্ধারণ করবেন।
৭ ।কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা
নিম্নাক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যে কোন পর্যায়ের যে কোন নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
(ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮-এর বলে দন্ডিত ব্যাক্তি;
(খ) দেউলিয়া;
(গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যাক্তি;
(ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যাক্তি ।
৮।চেয়ারম্যান
প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে দলের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন।৩০ বছরের কম বয়স্ক কোন ব্যাক্তি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না।
(ক) চেয়ারম্যান নির্বাচন
জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দের সরাসরি ভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্টতার মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।মেয়াদ শেষে চেয়ারম্যান পদে একই ব্যাক্তি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন।কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত চেয়ারম্যান দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন।দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্য্যন্ত চেয়ারম্যান স্বপদে বহাল থাকবেন।
(খ) চেয়ারম্যানের কর্তব্য,ক্ষমতা ও দায়িত্ব
(১) দলের প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে চেয়ারম্যান দলের সর্বময় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন এবং তদুদ্দেশ্যে জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিষয় কমিটি সমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটি সমূহের উপর কর্তৃত্ব করবেন এবং তাদের কার্যাবলীর নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন।
(২) উপরোক্ত কমিটি সমূহের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও চেয়ারম্যান প্রয়োজনবোধে নিতে পারবেন।
(৩) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসাবে উক্ত কমিটির কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কর্তব্য চেয়ারম্যান নিরুপণ করবেন।
(৪) চেয়ারম্যান প্রয়োজন মনে করলে জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিষয় কমিটিরসমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহ বাতিল করে দিতে পারেন।
(৫) চেয়ারম্যান জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন, তবে এ ক্ষমতা প্রয়োজনবোধে তিনি অন্য সদস্যের উপর অর্পণ করতে পারবেন।
(৬) চেয়ারম্যান জাতীয় স্থায়ী কমিটি এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্য পদ পূরণ করতে পারবেন।
(গ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের কর্তব্য, ক্ষমতা ও দায়িত্ব
(১) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে চেয়ারম্যানকে সহযোগীতা করবেন এবং চেয়ারম্যান কর্ত্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।
(২) চেয়ারম্যানের সাময়িক অনুপস্থিতিতে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
(৩) যে কোন কারণে চেয়ারম্যানের পদ শূণ্য হলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারম্যানের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।’
(ঘ) চেয়ারম্যানের অপসারণ
জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের দাবীকৃত জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের ভোট যদি চেয়ারম্যানের অপসারণের অনুকুলে হয় তাহলে চেয়ারম্যানকে অপসারিত করা যাবে।তবে জাতীয় কাউন্সিলের উক্ত দাবীতে চেয়ারম্যানের অপসারণই সভার একমাত্র বিষয়বস্তু হিসাবে দেখাতে হবে এবং অপসারণের কারণ স্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে।
৯।সভা, নোটিশ, কোরাম
(ক) জাতীয় কাউন্সিল
দলের মহাসচিব দলের চেয়ারম্যানের লিখিত পরামর্শক্রমে জাতীয় কাউন্সিলের সভা আহবান করতে পারবেন।কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্য কাউন্সিলের সভার কোরাম গঠন করবে।লিখিতভাবে সাধারণ ডাকে কিংবা পিয়ন মারফত কিংবা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ১৫ দিনের নোটিশে সম্ভব হলে বছরে অন্ততঃ একবার জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।অনুরুপভাবে সুস্পষ্ট ৫ দিনের নোটিশে কাউন্সিলের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হতে পারবে।জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশের) দাবিতে অনুরুপভাবে সুস্পষ্ট ১৫ দিনের নোটিশে কাউন্সিলের ‘দাবী সভা’অনুষ্ঠান করা যাবে।তবে এ সভার নোটিশে সুস্পষ্টভাবে দাবীর বিষয়বস্তু উল্লেখ থাকতে হবে।এরূপ সভায় মোট কাউন্সিলরদের ২/৩ (দুই-তৃতীয়াংশের) ভোট দাবীর পক্ষে না পাওয়া গেলে দাবীটি বাতিল হয়ে যাবে।
(খ) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
দলের মহাসচিব দলের চেয়ারম্যানের লিখিত পরামর্শক্রমে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করতে পারবেন।জাতীয় নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্য উক্ত কমিটির সভার কোরাম গঠন করবে।লিখিতভাবে সাধারণ ডাকে কিংবা পিয়ন মারফত কিংবা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ৭ দিনের লিখিত নোটিশে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করা যেতে পারে।তবে জরুরী সভার জন্য ৪৮ ঘন্টার নোটিশই যথেষ্ট হবে।তবে সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক — তৃতীয়াংশ)সদস্যের দাবীতে এবং সুস্পষ্ট ৭ দিনের উপরোক্তভাবে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা দাবী করা যেতে পারে এবং কমিটির মহাসচিব যদি সেই সভা আহবান না করেন, তবে কমিটির চেয়ারম্যান উক্ত সভা আহবান করবেন।
(গ) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
দলের চেয়ারম্যান যে কোন সময় তাঁর ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা আহবান করতে পারেন।তবে প্রতি ৩ মাসে অন্তত: একবার স্থায়ী কমিটির সভা হতে হবে।বিদ্যমান (Existing) সদস্য সংখ্যার ৫০ ভাগ সদস্য নিয়ে এ সভার কোরাম গঠিত হবে।
(ঘ) ওয়ার্ড থেকে জেলা নির্বাহী কমিটি
দলের ওয়ার্ড কমিটি থেকে জেলা কমিটি পর্য্যন্ত সমস্ত পর্য্যায়ের নির্বাহী কমিটির সভা উক্ত কমিটির সাধারন সম্পাদক কমিটির সভাপতির সাথে আলোচনা করে সাত দিনের নোটিসে আহ্বান করতে পারবেন।ব্যাক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বল্প সময়ের নোটিসে জরুরী সভা আহ্বান করা যেতে পারে।আহ্বায়ক কমিটির ক্ষেত্রে আহ্বায়ক সভা আহ্বান করতে পারবেন।সকল পর্য্যায়ের নির্বাহী কমিটি ও আহ্বায়ক কমিটির সভার কোরাম সংশ্লিষ্ট কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে।প্রতি তিনমাসে অন্ততঃ একবার মহানগর/জেলা/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি সভা অনুষ্ঠান করতে হবে।প্রতিটি সভার উপস্থিতির সাক্ষরসহ কার্য্যবিবরনী ও সিদ্ধান্তের অনুলিপি উর্দ্ধতন কমিটির নিকট অবিলম্বে প্রেরণ করতে হবে।
(ঙ) মহানগর/জেলা/উপজেলা/থানা/পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং পৌর ওয়ার্ড উপদেষ্টা কমিটি
মহানগর ও জেলা নির্বাহী কমিটিতে অনুর্দ্ধ ১১জন, উপজেলা/থানা/পৌরসভা নির্বাহী কমিটিতে অনুর্দ্ধ ৯জন ও ইউনিয়ন এবং পৌর ওয়ার্ড কমিটিতে অনুর্দ্ধ ৭জন সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি থাকবে।দলের প্রবীণ ও প্রাক্তন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং দলের কার্য্যক্রমে যুক্ত সমাজের বিশিষ্ট ব্যাক্তিগণ এর সদস্য হবার যোগ্য হবেন।দলের সংশ্লিষ্ট কমিটি কৃর্তক উপদেষ্টা কমিটি মনোনীত হবেন।তারা সংশ্লিষ্ট কমিটিকে পরামর্শ দেবেন এবং দলীয় সভা, অনুষ্ঠান ও কার্য্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
১০।তহবিল দলের কোষাধ্যক্ষ সংগঠনের তহবিল সংগ্রহ ও হিসাব রক্ষাবেক্ষণ করবেন।কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে সংগঠনের হিসাব খোলা হবে এবং চেয়ারম্যান/সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদক এই তিনজনের যে কোন দুই জনের যুক্ত স্বাক্ষরে তহবিল পরিচালনা করা যাবে, তবে যুক্ত স্বাক্ষরে কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর থাকতেই হবে।কোন অনিবার্য কারণে কোষাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে কিম্বা তার অনুপস্থিতে উপ-কোষাধ্যক্ষ কোষাধ্যক্ষের সমুদয় দায়িত্ব পালন করবেন।দলের হিসাব প্রতি বছর অডিট করাতে হবে এবং অর্থ বছর সমাপ্ত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে।সদস্য ফি, চাঁদা, দান, অনুদান, মনোনয়ন ফরম বিক্রির ও মনোনয়নপত্র গ্রহনের সময় প্রাপ্ত টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে দলের তহবিল সৃষ্টি করা হবে।
১১।বিধি ও উপবিধি
যে ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান নাই, জাতীয় স্থায়ী কমিটি সে ক্ষেত্রে বিধি ও উপবিধি প্রনয়ণ করতে পারবে।
১২।গঠনতন্ত্র সংশোধন
গঠনতন্ত্র সংশোধনের নিয়মাবলী নিুরুপ হবেঃ
জাতীয় কাউন্সিলের যে কোন সদস্য লিখিতভাবে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারেন।উক্ত প্রস্তাব দলের মহাসচিব এর নিকট প্রেরণ করতে হবে যাতে করে মহাসচিব প্রস্তাবটি জাতীয় কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় পেশ করতে পারেন, তবেঃ
(ক) প্রস্তাবিত সংশোধনী যে সভায় বিবেচিত হবে সে সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের মধ্যে সংশোধনী প্রস্তাবের অনুলিপি বিতরণ করতে হবে।এই সংশোধনী গৃহীত হতে হলে মোট কাউন্সিলরদের তিন ভাগের দুই ভাগকে প্রস্তাবের অনুকূলে ভোট দিতে হবে।
(খ) জরুরী কারণে যদি কোন সংশোধনী প্রয়োজন হয়ে পড়ে, দলের চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রে সে সংশোধন করতে পারবেন, তবে জাতীয় কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় ‘ক’তে বর্ণিত সংখ্যাগরিষ্টতায় উক্ত সংশোধনী গৃহীত হতে হবে ।
১৩।অংগ সংগঠন
দলের এক বা একাধিক অংগ সংগঠন থাকতে পারে ।এই সকল অংগ সংগঠনের নিজস্ব ঘোষনাপত্র, গঠনতন্ত্র, পতাকা ও কার্যালয় থাকবে এবং এই সকল অংগ সংগঠন মূল দলের শৃংখলার আওতাধীন থাকবে।দলের চেয়ারম্যান শৃংখলা ভংগের জন্য কিংবা সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডের জন্য কিংবা অসদাচরণের জন্য যে কোন সময় অংগ সংগঠনের কর্মকর্তা বা সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন এবং সংগঠন থেকে তাঁকে বহিস্কার করতে কিংবা সাময়িকভাবে সংগঠনের সদস্য পদ স্থগিত করতে কিংবা তিরস্কার করতে নির্দেশ বা পরামর্শ দিতে পারবেন।
অংগ সংগঠন হিসাবে দলের চেয়ারম্যানের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কোন সংগঠন জাতীয়তাবাদী দলের অংগ সংগঠন হিসাবে বিবেচিত হবে না।অনুমোদনের তারিখ হতে অংগ সংগঠনের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে।দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রত্যেক অংগ সংগঠন সম্পর্কিত একজন সম্পাদক থাকবে।দলের কর্মসূচী বাস্তবায়নে সহযোগিতা করাই হবে অংগ সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য এবং এ উদ্দেশ্যে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দলের প্রভাব বিস্তার কিংবা দলের নীতির প্রসার করার উদ্দেশ্যে এ সংগঠন তাদের নিজস্ব কর্মসূচী প্রনয়ণ করবে।তবে অংগ সংগঠন সমুহের ঘোষনাপত্র, গঠনতন্ত্র এবং পতাকা চেয়ারম্যান কর্তৃক পূর্বেই অনুমোদিত হতে হবে এবং যদি কোন অঙ্গ সংগঠন তাদের ঘোষনাপত্র,গঠনতন্ত্র বা পতাকার কোন প্রকার পরিবর্তন,পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে চায় তাহলে চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ছাড়া তার কোনটাই কার্যকর করা যাবে না ।
দল অংগ সংগঠনের এ সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে তাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে।এ পর্যন্ত যে সমস্ত সংগঠন দলের চেয়ারম্যানের অনুমোদন পেয়ে অঙ্গ সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তারা হচ্ছেঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল
১৪।সহযোগী সংগঠন
বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় নিযুক্ত ব্যাক্তিগণের মধ্যে যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীতে বিশ্বাস করেন তারা স্ব-স্ব শ্রেণী- পেশার স্বার্থ রক্ষার জন্য সংগঠিত হতে পারবেন এবং এইসব সংগঠন দলের সহযোগী সংগঠন হিসাবে গণ্য হবে।তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল তাদের স্ব-স্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
(৮ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত সংশোধিত)