নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতির সমস্যা সমাধানের আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার শ্রমিক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে একতরফাভাবে নির্বাচনে যাওয়া। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে যাওয়া। তারা মনে করছে পুরোপুরিভাবে নিষ্কণ্টক হয়ে যাবে।কারণে হিসেবে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যদি বিএনপি নির্বাচন করে তবে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। তাই তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একতরফা একটা কমিশন গঠন করেছে। সেই নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তারা নির্বাচন করতে চায়।’এ সময় এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একতরফা তফসিল ঘোষণা কোনো দলই মেনে নেবে না বলে জানান ফখরুল।
এর আগে গত সোমবার এক সংবানদ সম্মেলনে ডিসেম্বর মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গাজীপুরের এসপি হারুনকে সরানোর জন্য আমরা চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের জোটের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে, এমনকি যিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিলেন তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব কারণে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটি মনে করার কোনো কারণ আমি দেখছি না।’
আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে একটি ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সাথে কোনো আলোচনা না করে, জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতেই সরকারের এ প্রচেষ্টা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।