ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৪৫তম সম্মেলন উপলক্ষে প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে পৌঁছেছেন।
শুক্রবার (৪ মে) সকাল ৯টায় কক্সবাজার পৌঁছান ৭০ জনের প্রতিনিধিদল। কলাতলীর লংবিচ হোটেলে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বৈঠক করছে প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে বেলা ১১টায় উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন তারা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাদের বর্বর নির্যাতনে দেশটির বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের অবস্থা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের এটিই প্রথম একসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসা। তিনি জানান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের সফরের পরপরই এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসলেন ওআইসির প্রতিনিধিরা।
ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এবারের ৪৫ তম সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যূর পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও প্রগতির বিষয়টি প্রাধাণ্য পাবে। ‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫ তম সম্মেলন আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছাড়াও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল লিওনিদোভিচ বাগানোভ কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যাবেন। এই দুইজন ওআইসির সম্মেলনে যোগ দিতে আসলেও তাদের সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা সঙ্কট কীভাবে সমাধান করা যায়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফরে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমার বিষয়ক কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বব রায়ে এবং ওআইসি বিষয়ক কানাডার বিশেষ দূত মাসুদ হুসেইনও থাকবেন।
গত বছররে আগস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। মানবিক কারনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমানে কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।