আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে চাইলে সিএমএইচ’এর প্রস্তাব প্রত্যাখান করা উচিত নয়। তবে, যদি রাজনীতি করতে চায় সেটা ভিন্ন বিষয়।
বুধবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গ্রামমুখো মানুষের ঈদ-যাত্রা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিএমএইচ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল, এর চেয়ে ভালো চিকিৎসা আর কোথায় আছে। সিএমএইচ খুবই কেয়ারফুল। তিনি দেশের একজন নেত্রী। একটা বড় দলের চেয়ারপারসন তার চিকিৎসার যাতে কোন প্রকার গাফিলতি না হয় সেজন্য সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে ।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও আমাদের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা আছেন। তারপরও তারা যখন চান না, তখন সবচেয়ে ভাল হাসপাতাল সিএমএইচ’র প্রস্তাব তাদের প্রত্যাখান করা উচিত হবে না ।
বিএনপির ভারত সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা তো ক্ষমতার জন্য ভারতে যাইনি। আমরা দ্বি-পক্ষীয় আলোচনার জন্য ভারতে গিয়েছি। আমরা কথা বলেছি, তিস্তা নিয়ে, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে। আমরা কথা বলেছি আমাদের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে। বিএনপি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে একটি কথা বলেছে? কোন মিডিয়ায় খবর আছে? তারা গেছে, নির্বাচনে তাদের সাহায্য চাইতে, নালিশ করতে।
তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের দেশের নির্বাচনে জনগণের যে রায় সেই রায়ই এখানে সবচেয়ে বড় কথা। জনগণ যাকে রায় দেবে, সেই ক্ষমতায় আসবে। ভারত কি আমাদের দেশের জনগণকে প্রভাবিত করবে কাউকে ভোট দিতে? এখানে কোন বিদেশি শক্তির সুযোগ নেই নির্বাচনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা। আমার জানা মতে, ভারত এ যাবত কখনোই এমন হস্তক্ষেপ করেনি।আর ভারত যদি কেবল আমাদেরই বন্ধু হয়ে থাকে, তাহলে কেন আমরা ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরেছি। কেন ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারিনি আমরা।
তিনি আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, ঈদের পরে জোটগুলোর সঙ্গে বসে কে কোথায় প্রার্থী দেবে তা ঠিক করা হবে। নির্বাচনে জিতবে না এমন কাউকে বা উইনেবল প্রার্থী ছাড়া কাউকে আমরা মনোনয়ন দেবো না। আমাদের কৌশলগত কিছু বিষয় আছে, তাই এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।