বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কোটা আন্দোলন, আগামী নির্বাচন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট নিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে আলোচনা করলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামীল লীগ সাধারণ সম্পাদক হঠাৎ সিপিবি কার্যালয়ে এসে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এ বিষয়ে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করেই ওবায়দুল কাদের আমাদের অফিসে এসেছিলেন। সে সময় আমাদের পার্টির সভাপতির সঙ্গে দলীয় বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলাম। ওবায়দুল কাদের এসেই বলেন, আপনাদের অফিসে চা খেতে এলাম।
তিনি বলেন, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি দুই বুর্জোয়া দলের সঙ্গে আমরা নেই। আমরা দীর্ঘদিন থেকে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করে আসছি। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি জোটও আমরা করেছি। হঠাৎ করে আমাদের কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের আগমনে আমরা অনেকটা বিব্রত, এর ফলে আমাদের জোটের অন্য দলগুলোর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি সিপিবি। বিএনপিসহ বিরোধী দলবিহীন ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে সিপিবি। সম্প্রতি আটটি বাম দল নিয়ে একটি জোট করেছে সিপিবি।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোট ও নির্বাচনী মহাজোট বৃদ্ধির তৎপরতা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরইমধ্যে বৈঠক হয়েছে বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে। ধানমন্ডি কার্যালয়ে ১৪ দলীয় জোটের সমন্নয়ক মোহাম্মদ নাসিমের বৈঠক করেন নাজমুল হুদা। তৃণমূল বিএনপি ১৪ দলের জোটে অংশ নিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়বে বলে জানান নাজমুল হুদা।
জানা গেছে ওবায়দুল কাদের আরও কিছু বাম দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দুই একদিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।