জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্কের শুনানিতেে আদালতে হাজিরের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার ( ৩১ জুলাই) প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পর বেলা ১২টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে বকশিবাজার বিশেষ জজ আদালত-৫ তা মঞ্জুর করে অাগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত তা বাড়ান।
শুনানিতে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আদালতে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু উনি আসতে চাননি। তিনি না এলে মামলার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। এসময় তিনি আদালতের কাছে একটি সংক্ষিপ্ত অাদেশ চান যাতে খুব দ্রুত মামলার কার্যক্রম শুরু করা যায়।
এর আগে, সকাল থেকেই পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ কারাগার ও বকশিবাজার আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হতে পারেন বলেও সকালে জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক সূত্র।
এছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে সকালে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগারে যান আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন আহমেদ। পরে বেলা ১২টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি গণমাধ্যমে কোন কথা বলেননি। আইজি প্রিজন্স বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।