ভোটারবিহীন বর্তমান সরকারকে ‘লাইসেন্সবিহীন’ আখ্যা দিয়ে ও সারাদেশে সরকারের অব্যাহতভাবে গুম, খুন, হত্যার তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি শিশুরা আমাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন সর্বক্ষেত্রে লাইসেন্স চাই। গাড়ি চালাতে যেমন লাইসেন্স দরকার তেমনি সরকার পরিচালনা করতেও দেশের জনগণের মতামত (লাইসেন্স) দরকার।’
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অপারাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন : বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আজ আন্দোলনরত শিশুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। কারণ কি? তাদের দাবি ছিল আমরা রাস্তায় লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চলতে দেবো না। লাইসেন্সবিহীন চালক সড়কে গাড়ি চালাতে পারবে না। কিন্তু এ সরকার নিশ্চুপ কেন? স্বাভাবিকভাবেই তাদের একটি দুর্বলতা আছে। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের ভোটে যেতে হয়। কিন্তু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। তারা নিজেরাই লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় আছে। সে কারণে তাদের মনে আঘাত লেগেছে। তারা এখন মনে মনে ভাবছে- আমরা ক্ষমতায় আছি আমাদেরও তো লাইসেন্স নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই শিশুরা আমাদেরকে শিখিয়ে গেল রাজপথে নির্যাতন সহ্য করেও অধিকার আদায় করা যায়। একইভাবে আমাদেরও সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে মাঠে নামতে হবে।’
দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এই কোমলমতি শিশু নির্যাতনকারীদেরও একদিন বিচারের আওতায় আনা হবে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই আইনজীবী নেতা।
এসময় তিনি বলেন, ‘এই সরবারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না। বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করার স্বপ্নে সরকার সফল হবে না। তাই সরকারকে বলবো ১৪ জানুয়ারি ভুলে যান। অনেক পানি নদীতে গড়িয়েছে। এবার খেলা হবে সমানে সমানে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আমরাও খেলবো, পারলে আপনারাও খেলবেন।’
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব:) এম আনোয়ারুল আজিম, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনি, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম ও ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য দেন।