শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রাজনৈতিক হলে এবারই প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ক্ষমতা শেষ হয়ে যেত দাবি করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যদি রাজনীতির প্রতিফলিত হতো বা রাজনীতি প্রধান হলে এবারই শেখ হাসিনার ক্ষমতা শেষ হয়ে যেতো। সুতরাং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রাজনৈতিক ছিল না। এটাকে আমরা রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে দেখতে চাই নাই।’
বুধবার (৮ অাগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রুহুল কবির রিজভীর নামে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই আইন আমাদের যথার্থ আশা পূরণ করে নাই। আর শিক্ষার্থী এবং পরিবহনের মালিক এবং শ্রমিকরাও এই আইন গ্রহণ করে নাই।’
ক্ষমতাসীনরা ফাঁকি দিয়ে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করছে বলে মন্তব্য করেন নোমান। এসময় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবাইকে যার যার জায়গায় থেকে ভূমিকা রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সরকারকে উদ্দেশ্যে করে নোমান বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহায়ক সরকার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে। অন্যথায় কোনো নির্বাচন জনগণ এদেশে হতে দেবে না। এছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। সুতরাং এই কমিশনের অধীনে নতুন কোনো নির্বাচন হবে না।’
আজকে দেশ মহাসংকটে মন্তব্য করে বিএনপির এই ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশ পুলিশে রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যদিও একটি সংবিধান আছে। কিন্তু সংবিধানের কোনো প্রয়োগ নেই।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।