যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সরকারকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, মানুষের স্বাধীনতা গণতন্ত্র হরণ করে দেশ শাসন করা যাবে না। বাংলার জনগণ কখনও তা মেনে নিবে না।
তিনি বলেন, ইতিহাস বলে এই দেশে কোনও স্বৈরশাসক থাকতে পারে নাই, আপনিও থাকতে পারবেন না।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যর উদ্যোগে ইভিএম বর্জন জাতীয় নির্বাচন ও
রাজতিক জোট শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা
বলেন
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না। এটা জনগণ গ্রহণ করেনি। জনগণ উন্নয়ন চায় তবে গণতন্ত্রও থাকতে হবে। মানুষকে তুচ্ছ করে, অধিকার হরণ করে দেশ শাসন করা যাবে না। আজকে ঘরে নিরাপত্তা নাই, বাহিরে নিরাপত্তা নাই, স্বাধীনভাবে কথা বলার নিরাপত্তা নাই, স্বাধীনভাবে কথা বলতে গেলে হাতুড়িপেটা করা হচ্ছে। এই গণতন্ত্রহীনতা দেশের জনগণ আর মানবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভালো রাজনীতি করেন এবং ভাল রান্না করতেও পারেন। এর সঙ্গে বর্তমানে তিনি ভাল ছড়াও কাটেন। ছড়া কাটেন আর না কাটেন দেশে গণতন্ত্র দিতে হবে, না হলে কোনও উপায় থাকবে না।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রীর এ কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সংবিধানের প্রতি এত শ্রদ্ধা থাকলে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সেখানেই আদালত করতে হবে কেন? এটা কোনও সংবিধানে আছে? পৃথিবীর কোনও দেশের সংবিধানে এই ধরনের মামলার বিচার কারাগারে হয় না। এটা বন্ধ করতে হবে। এটা সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবী যখন ইভিএম বর্জন করছে তখন আমরা অর্জন করেছি ইভিএম। এর জন্য কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। আইন পাশ করা হয়নি। তার আগেই টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটা অনকেটা ঘোড়ার আগে গাড়ি দেয়ার মত। আসলে টাকা লুটপাট করার জন্য এই বরাদ্দ করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জেনারেল ইব্রাহিম প্রমুখ।