বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলটির মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘গত ১০ বছরে যারা আন্দোলন করতে পারেনি, আগামী এক মাসেও তারা আন্দোলন করতে পারবে না। অক্টোবর মাসে আমরা সারা দেশে জেলা ও উপজেলায় সভা-সমাবেশ করবো। শুধু রাজধানী নয়, অক্টোবরে সারা দেশ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের দখলে থাকবে।’
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বাস্তুহারা লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে তার ফল ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
নাসিম বলেন, ‘একাদশ নির্বাচন ঘিরে আমরা কোনও সংঘাত চাই না। কোনও সহিংসতাও চাই না। তবে কেউ সংঘাত করতে চাইলে তার পরিণাম ভালো হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৪ দলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। আর বিএনপির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কর্মসূচি ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর। তারা (বিএনপি) কারও সঙ্গে কোনও কথা না বলেই তাদের কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করেছে। বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছে। সংঘাত সৃষ্টি করতে চাইছে।’
মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, ‘নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের জন্য চক্রান্ত শুরু করে। তারা সংবিধান ও আইন কিছুই মানে না। তারা আবারও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নিয়ে জট পাকিয়েছে। তারা আবারও শান্তিপূর্ণ দেশকে অশান্ত করতে চায়। নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বারবার ঘুঘুকে ধান খেয়ে যেতে দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে। তাই পৃথিবীর কোনও শক্তিই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে নির্বাচন।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, ‘আপনারা আগামী ২৯ নভেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চের ১৪ দলের সভায় উপস্থিত থাকবেন। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হবে সমাবেশে যোগদান করা। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সমাবেশে যোগদান করবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী প্রমুখ।