বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়েছে। শনিবার বেলা তিনটা ৪০ মিনিটের দিকে বিশেষ নিরাপত্তায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার জন্য হাসপাতালের ৬১১ ও ৬১২ নাম্বার ভিআইপি কেবিন প্রস্তুত করা হয়েছে। একটি কেবিনে খালেদা জিয়া অন্যটিতে একজন ডেপুটি জেলার থাকবেন। আজ হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে ভর্তি করার সম্ভাবনা আছে।
কঠোর নিরাপত্তায় ১৫টি গাড়ির বহরে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়। বহরে র্যাব, চকবাজার থানার ওসি, লালবাগ জোনের এসি, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, ফোর্স পুলিশের গাড়ি ছিল। খালেদা জিয়া বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পুলিশের একটি ভ্যানে তার শোয়ার ম্যাট্রেসটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, ৬১২ নম্বর কক্ষটিতে বেগম জিয়া থাকবেন। হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ছয়তলার ৬১২ নম্বর কক্ষটি ডিলাক্স কেবিন নামে পরিচিত। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনটির ভেতরে দুটি খাট, টিভি ও অ্যাটাচড বাথরুম রয়েছে। কক্ষের পাশেই রয়েছে এক সেট সোফা। এছাড়া এটির ভেতরে কলিং বেল রয়েছে, যাতে করে রোগী প্রয়োজন হলে নার্স বা অন্য কাউকে ডাকতে পারেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে আছেন অধ্যাপক ডা. এম জলিল (মেডিসিন), অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক (নিউমোটলজি), অধ্যাপক ডা. সজল ব্যানার্জি (কার্ডিওলজি), ডা. মুকুল দত্ত (অর্থপেডিক্স) ও সহকারী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেচ্ছা।
এর আগে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বেগম খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, আজ বেলা ৩টার পর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ নিয়ে যাওয়া হবে।
গেল ৪ অক্টোবর খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে পাঁচ সদস্যের আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।
গেল ৭ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের দণ্ড দেন আদালত। সেই থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।