একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহে ৭০০ কোটি টাকার একটি বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। সোমবার (১৫ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩৬তম প্রস্তুতি সভায় এ বাজেট অনুমোদন করা হয়।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের একথা জানান।
ইসি সচিব জানান, এবার ভোট গ্রহণের জন্য ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোট কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলো সিডি আকারে প্রতিটি আসনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে দেশি-বিদেশ পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘এবার বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের আগে আটটি বিভাগীয় জেলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটিসহ মোট ১০টি জেলায় সভা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সভা বর্জন প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘ওনি একটি বিষয় সভার এজেন্ডায় অর্ন্তভূক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন, কিন্তু বাকি তিন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সে বিষয়ে একমত হননি। এ কারণে তিনি সভা বর্জন করেছেন।’
মাহবুব তালুকদার তার ‘নোট অব ডিসেন্টে’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আলোচনা প্রস্তাব করেছিলেন। যদি দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আলোচনা না হয়ে তবে সংলাপ হয়েছিলো কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যেসব বিষয় উঠে এসেছে সেগুলো আমরা পুস্তক আকারে প্রকাশ করেছি। আমরা রাজনৈতিক দাবিগুলো দেখছি এবং সাংবিধানিকভাবে কিছু বিষয় এর মধ্যে পড়ে গেছে।’
সংলাপে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেনা মোতায়েন এবং ইভিএম বাতিল চেয়েছিলো এবং সরকারি দল আওয়ামী লীগ সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে এবং ইভিএম রাখার কথা বলেছিলো, এখন নির্বাচন কমিশনও সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাহলে কি ইসি সরকার দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে, এমন প্রশ্নে ইসি সচিব কোনো উত্তর দেননি। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।