আগামী ২৯ অক্টোবর ঘোষণা হতে যাওয়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় আগে থেকেই লেখে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ হাদীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আগামী ২৯ তারিখ রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৯ তারিখ কেনো? তারা চাইলে কালকেও রায় দিতে পারেন। কারণ রায় তো আগেই লেখা হয়ে গেছে।’
ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা যারা লুট করেছে, তাদের কী বিচার হয়েছে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তাদের বিচার দ্রুত করার সরকারের কোনো আগ্রহ নাই। আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবিল ট্রাস্টের ৩ কোটি টাকার অভিযোগ। এই রায় আগামী ২৯ অক্টোবর দেয়া হবে। কিন্তু তিনি অসুস্থ। এ কারণে জেলাখানার, হাসাপাতালের এবং সরকারি ডাক্তারদের সুপারিশে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বেগম জিয়া। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কোর্টে যাওয়ার সামর্থ নেই তাঁর। তবে সরকারের দাবি প্রেক্ষিতে আদালত বলে দিয়েছেন যে, বেগম জিয়ার অনুপস্থিতেই বিচার চলবে। তবে আমাদের আইনজীবীরা বলেছিলেন যে, তাকে তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবেন। কিন্তু কোনো কথা শোনা হয়নি।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা চলতে পারে না। এমন একটা বাংলাদেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। ৫ কোটির টাকার মালিক এখন ৫ হাজার কোটি টাকার মালিক। আর ৫০০ টাকার মালিক এখন গরীব। এই চরম বৈষম্যের দেশ আমরা চাইনি। এর পরিবর্তনের পথ হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণরায়। এজন্য আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
ইভিএম এর বিষয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ভারতে একটা ইভিএম কিনতে বাংলাদেশের টাকায় ২১ হাজার ৫শত টাকা খরচ হয়। আমাদের দেশে বুয়েট ইভিএম মেশিন তৈরি করেছে। এর দাম ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। আর এই ইভিএম মেশিন আমাদের সরকার বিদেশ থেকে কিনছে ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকায়! অথ্যাৎ ১১ গুন বেশি দামে। এখন তো লুটপাট ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। সরকারের এর সন্তোষজনক জবাব দেয়া উচিত।’
সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের নেতা প্রফেসর এম এ কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. আবদুর মান্নান মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।