আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করেছি। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী করব। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আমরা যা করি পরিকল্পনা করেই করি।
বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিসিসিআই আয়োজিত বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলন ‘ডেসটিনেশন বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রোববার (২৮ অক্টোবর) এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গঠনের পর আমরা ইপিজেড তৈরি করি। উত্তরা ইপিজেডসহ এগুলো সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ। কেবল কৃষি নয়, শিল্পায়ন যাতে হয় সেদিকেও আমরা মনোযোগ দিয়েছি। শুধু শহর নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির দিকেও আমরা নজর দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার ডেল্টা প্লান করেছি। ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই রূপরেখাও আমরা করেছি। এছাড়া ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশগুলোর একটি। ২০৪১ সালে আমরা ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যাতে হয় সেইদিকেও আমরা মনোযোগী। ব্যবসা-বাণিজ্য গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। গ্রামের তৃণমূল মানুষটা যেন আর্থিকভাবে সক্ষম হয়। শুধু নিজের দেশ না আঞ্চলিক-উপ আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টিও মাথায় রেখেছি আমরা।
তিনি বলেন, যখন সরকার গঠন করি তখন ছিল বিশ্বব্যাপী মন্দা। আমরা সেই মন্দা কাটিয়ে ৭.৬ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আগামীতে ৮.২৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি হবে। সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী আমরা বিশেষ ১০০ টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। এটা বেসরকারিখাতের জন্য। যে জায়গা চাইবেন সে জায়গা দেওয়া হবে। এতে আমার লাভ কী? আমার লাভ হলো দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হবে, চাকরির সুযোগ হবে।