একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় ও জোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে শেষ মুহূর্তের অভিযান চালাচ্ছে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো। একদিকে ২০ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপিতে যেমন আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে, অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শরিকরা কে কতটি আসন পাবে তা নিয়েও চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপ।
তবে এবারের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোট ও মিত্ররা ৭০টির বেশি আসন পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটি সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘এখন আসন ভাগভাগির বিষয়টি আলাপ আলোচনার পর্যায়ে আছে। শরিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষ পর্যায়ে, কাল-পরশু মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে।’
শনিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আমরা ইন্টার্নাল আলোচনা করছি। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য শরিক দলের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।’
এবার জাতীয় পার্টিকে কয়টি আসন দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘তা এখনও পরিষ্কার নয়।’ শরিকদেরকে জন্য কতটি আসন দেয়া হবে- এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘৬৫-৭০টির বেশি আসন দেয়া হচ্ছে না।’
মহাজোটের সঙ্গে আসন বণ্টন বিষয়ে জানতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আসন ভাগাভাগিকে গুরুত্ব কম দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্ভুলভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টি পথ চলতে চায়। যেসব আসন আমরা চাই, সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নির্ভুল পথে চলতে চাই। এখানে আবেগের সুযোগ নেই।’
জাতীয় পার্টি কয়টি আসন পেয়েছে- জানতে চাইতে তিনি বলেন, ‘আমরা পেয়েছি। আরও পাবো। আমরা আশাবাদী প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার সময় আরও ভালো কিছু পাবো। এই আশা নিয়ে আমরা চলে যাচ্ছি।’
এর আগে সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জোট-মহাজোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রথমে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আকতার। এরপর বৈঠকে বসেন রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি।
ওয়াকার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুল হক চুন্নু ও কাজী ফিরোজ রশীদ।