মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করায় গোলাম মাওলা রনি, ইমরান এইচ সরকারসহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীরা স্বশরীরে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিভিন্ন আসনের মোট ২২ জন প্রার্থী বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রয়োজনীয় কাগজের সংযুক্তি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এসে সচিবের কাছে তাদের মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে আবেদন করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল শুরু করেছেন অবৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা।
গতকাল ২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারা দেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আপিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মাওলা রনি (পটুয়াখালী-৩), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে মো. আখতারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ থেকে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ থেকে খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরহাট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান।
এদের মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকার জন্য চারজন, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নের জন্য তিনজন, লাভজনক পদে থাকার জন্য সাতজন, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার জন্য একজন, আয়কর রিটার্ন দাখিল না হওয়ার জন্য একজন, ঋণখেলাপি দুইজন ও দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন। এছাড়া অন্যান্য কারণে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।