জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে উন্নয়ন অর্থবহ হয় না। জনগণ সরকার ও ইসির গণবিরোধী নীলনকশা রুখে দেবে।জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত হবে।বললেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনারা দলের জন্য নয় দেশের জন্য কাজ করেন।৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ঐক্যফ্রন্টের বিজয় হবে।
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর যেমন আমাদের বিজয় হয়েছিল তেমনিভাবে ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে আমাদের বিজয় হবে। আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করবেন।
এছাড়া দেশের উন্নয়ন সংক্রান্ত বক্তব্যকে পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খানের বক্তব্যের সঙ্গে তুলনা করেন ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা।
ড. কামাল বলেন, মুখে ফেনা তুলে ফেলা হচ্ছে। উন্নয়ন উন্নয়ন উন্নয়ন, এটি আইয়ুব খানের প্রত্যাখ্যাত বক্তব্য। ৭১ সালে আমরা আইয়ুব খানের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কাজ করে স্বাধীন হয়েছে।বাংলার মানুষ অস্ত্র ও টাকার কাছে বিক্রি হবে না।যদি স্বৈরচারের বিরুদ্ধে না দাঁড়াতো তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না।
তিনি আরও বলেন, সবাই সকাল বেলা গিয়ে ভোট দেবেন, নিজের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সকলকে অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, আমরা নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি না, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে সন্ত্রস্ত করতে থাকায় আমাদেরকে অবশ্যই একেবারে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন মাত্রায় সন্ত্রাস দেখিনি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানে শহর-গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় পোশাকধারী পুলিশ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সাথে যোগ দিয়েছে। গণগ্রেপ্তার চলছে। এটিই আসল লজ্জা।
ড. কামাল বলেন, লোকজন যাতে ভোট দিতে না আসে সেজন্য তাদেরকে সন্ত্রস্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, গত ১০ দিনে সরকার যা করেছে নিজের জন্য ক্ষতি করেছে। নির্বাচন কমিশন যা করেছে তা মোটেই কাম্য নয়। তাদের মধ্যে সিইসি নুরুল হুদা মীর জাফর নামে আখ্যায়িত হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার নৈতিকভাবে পরাজয় হয়েছে। সমস্ত দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।