দলের শোচনীয় পরাজয়ের কারণেই বিএনপি কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নের ফরম বিক্রি পরিদর্শন করতে গিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে না পেরে পরাজয় ও ব্যর্থতার জন্য কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি দিয়েছে। দলের শোচনীয় পরাজয়ের কারণেই তাদের এ কর্মসূচি।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একের পর এক পরাজয়ে বিএনপির ইলেকশন ফোবিয়া হয়ে গেছে। তাই তারা ভয় পাচ্ছে নির্বাচনে অংশ নিতে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সভা সমাবেশ করতে চাইলে তারা (বিএনপি) অনুমতি পাবে। কিন্তু তা রাস্তায় করতে পারবেন না।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর প্রত্যাহার পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আসলে এখানে দলের অভ্যন্তরীণ চিত্রটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটি দেখার জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। এবারও তাই হবে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দল কঠোর অবস্থানে থাকবে।
জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও বিদ্রোহীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে যে সতর্কতার কথা বলেছিলাম এবং কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছিলাম, তার ফলে তো বিদ্রোহীর পরিমাণ একেবারে কমে গিয়েছিল। সেটি তো ফলপ্রসূ হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনেকেই নিজেদের লোক এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের নাম পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা কী হবে? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কার ভাই, কার বোন। এটা বড় বিষয় নয়। মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখা হবে। জনগণের কাছে কার জনপ্রিয়তা বেশি, কে উইনেবল; কে ইলেকটেবল সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো।
তিনি বলেন, আমরা উপজেলায় একটি বর্ধিত সভায় নাম নির্ধারণের জন্য বলেছিলাম। ওই বর্ধিত সবাই যদি কোন আত্মীয়ের নাম চলে আসে তাহলে তো কিছু করার নেই। আত্মীয় পরিচয়ের কারণে কারও নাম ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চাপা পড়ে যাবে সেটা তো হতে পারে না।