দেশের সরকারি কিংবা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং করাতে পারবেন না। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালের নীতিমালা অনুসারে আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার আদালতে উপস্থিত থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন কথা বলেন।
পরে মো. খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, অন্য একটি মামলাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলাম। তখন আদালত আমাকে ডেকে জানান, কোচিং নিয়ে বিচারপতিগণ টেলিভিশনে দেয়া আমার দুটি টকশো দেখেছেন।
কোচিংয়ের সংজ্ঞা নিয়ে বিচারপতিগণ বক্তব্য স্পষ্ট করে আমাকে জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বাইরে যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত তারা তাদের কার্যক্রম চালু রাখতে পারবেন। তবে যারা কোনও না কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাদের ক্ষেত্রে সরকারের করা কোচিং বাণিজ্য বন্ধের ২০১২ সালের নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
আদালতের এ বক্তব্যের ফলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালের নীতিমালা অনুসারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে যুক্ত থাকা শিক্ষকরা কোনোভাবেই কোচিং করাতে পারবেন না।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে সরকারি অনুমোদিত নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত পাঁচটি পৃথক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজীব আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত এ রুল নিষ্পত্তির জন্য সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামালকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর দীর্ঘদিন পর চূড়ান্ত শুনানি শেষ করে এ রায় ঘোষণা করা হয়।