রাজধানীর চকবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় সরকারের ‘অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতা’কে দুষলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। আজকে সব জায়গায় মানুষ অকারণে জীবন হারাচ্ছে। এর কারণ সরকারের দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থা। তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।’
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদ শফিউর রহমান ও আবুল বরকতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনার সদিচ্ছা এ সরকারের নেই। তারা যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘আজকে চকবাজারে দুর্ভাগ্যবশত যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেই অগ্নিকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে ৫২ ভাষা আন্দোলনের শহীদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, ‘মহান একুশে আমাদের জাতীয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য দিন। ১৯৫২ সালের এদিনে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্র ভাষায় পরিণত করার জন্য আমাদের অকুতোভয় সন্তানেরা প্রাণ দিয়েছিল। রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছে এবং সে দিনেই রচিত হয়েছে আমাদের মুক্তির চেতনার বীজ। এরপর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড লাভ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে চরম দুর্ভাগ্য ও ক্ষোভের বিষয় আমাদের ভাষা আন্দোলন ৫২’র যে চেতনা তা ভুলুন্ঠিত হয়েছে। মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্রের, বাক স্বাধীনতার, সে স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যা এ দেশের কারো কাঙ্খিত নয়।’
সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যিনি গণতন্ত্রের মাতা, যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। তাকে শেষ বয়সেও মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা এ দিনে তার মুক্তির দাবি করছি। হাজারো গণতন্ত্রের সৈনিক যাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে অবিলম্বে সবার মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের অধিকার হনন করে ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে, সে নির্বাচনকে বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি পুনরায় নির্বাচন চাই।’