ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন ব্রেকিংনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ‘বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই নুসরাতের লাইফসাপোর্ট তেমন কাজ করছিল না।’
এরপর সামন্ত লাল সেন আইসিইউ থেকে রাতে বেরিয়ে ওই ছাত্রীর বাবা ও ভাইকে ডেকে বুকে জড়িয়ে ধরলে তারা বুঝতে পেরে কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় পুরো বার্ন ইউনিটে স্তব্দ পরিবেশ তৈরি হয়।
রাত সোয়া ১০টার দিকে সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নুসরাতকে বাঁচাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তবে ডিপ বার্ন হওয়ায় প্রথম থেকেই তা বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিলো। আজকেও সিঙ্গাপুরের ডক্টরদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহের পোস্টমর্টেম হবে। লাশ হিমঘরে রাখা হয়েছে।’
গেল শনিবার থেকে গত ৫ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নুসরাতকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার লাইফসাপোর্টে রেখেই প্রায় ২ ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী পৌর এলাকার ইসলামিয়া সিনিয়ার ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে নুসরাত জাহান রাফির (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। রাফি ওই মাদ্রাসা থেকেই আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।