মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী অথবা সাম্প্রদায়িক মনোভাবাম্পন্ন কাউকে দলের সদস্য করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনও যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তানদেরও আওয়ামী লীগের সদস্য করা হবে না। আমাদের দলের এ বিষয়ে একটা নীতিমালা আছে, দলের চেতনা আছে। চেতনার সঙ্গে কোনও আপস নাই আমাদের।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে বিএনপি বা জামায়াত যাই হোক না কেন তাদের কেউ দলে যোগ দিতে পারবে না। আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এদেরকে মনোনয়ন দেওয়া,এদেরকে সদস্য করা, এ ব্যাপারে দলের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে এবং পারিবারিকভাবে তাদের কেউ যদি দলে আসতে চায় সেখানে কিন্তু আমাদের প্রশ্ন থাকবেই।’
বরগুনায় রিফাতকে প্রকাশ্য হত্যার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অপরাধীদের দলের পক্ষ থেকেও ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত পহেলা জুলাই থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এবারের সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত পরিবারের সংশ্লিষ্টতা থাকলে নেওয়া হবে- এমন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা তৈরি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভ্রান্ত না হয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করলেন কাদের।