ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার খবরকে হাওয়া থেকে পাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে গতকাল শুধু আলোচনা হয়েছে। ছাত্রলীগের বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যাপারে দল প্রধানের ক্ষোভ আছে। অনেক খবর ছড়াচ্ছে, সেসব হাওয়া থেকে পাওয়া। তাদের যেসব কাজ প্রশংসিত সেসব সন্তোষজনক। যেসব নিন্দনীয় তা নিয়ে তাদের শোধরাতে বলা হয়েছে।’
গতকাল গণভবনের বৈঠকটি ছাত্রলীগের কমিটি ভাঙা সংক্রান্ত ছিল না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বলা ঠিক হবে না। প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে তারা গেছে আমি তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলবো কেন? আমি পার্টির সেক্রেটারি হিসেবে তাদের ভালো খবরের শিরোনাম হতে পরামর্শ দেই।’
এ সময় রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সেইসঙ্গে জাতীয় পার্টি যাকে বিরোধী দলের নেতা বানাবে আওয়ামী লীগ তাকেই স্বাগত জানাবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কার্যক্রমে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরই ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন, কমিটি ভেঙে দেওয়ার মতো কোনো নির্দেশ দেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় এবং সাম্প্রতিক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।