রাজনীতির কাকদের সমন্বয়ে বিএনপি’র জন্ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘রাস্তায় কাকে যখন খাবারের উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দেয়া হয় তখন অনেক কাক জড়ো হয় এই খাবারের উচ্ছিষ্ট নেয়ার জন্য। বিএনপিও ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট যেমন বিলিয়ে দিয়েছিল আর রাজনীতির কাকদের সমন্বয় এ বিএনপির জন্ম হয়েছিল।’
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী এম এ মান্নান’র দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগে আজকে যারা জাতীয় নেতা তাদের প্রত্যেকের পেছনে অনেক সংগ্রামী ইতিহাস আছে। জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করানোর অনেক ঘটনা আছে যেটি বিএনপি নেতাদের নাই। আজকে যারা বিএনপির বড় বড় নেতা তারা সবাই প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির মাঠের কাক। তাদের দ্বারাই এই বিএনপি’র সৃষ্টি হয়েছিল।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতি, মাদক, অনিয়ম এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। আর বিএনপি তাদের সংবিধানের গঠনতন্ত্রের ৭ নাম্বার ধারা বাদ দিয়েছে। সাত নম্বর ধারায় ছিল, কেউ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তিনি তাদের দলের কোন পদে থাকতে পারবেন না। বিএনপি সে ৭ নম্বর ধারাটি বাদ দিয়েছে। অর্থাৎ বিএনপি এই ধারা বাদ দিয়ে সকল দুর্নীতিগ্রস্তদের তাদের দলের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মধ্যে যেসব অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি ক্যাসিনো, মাদক ও অনিয়ম বন্ধ করছেন।’
আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নেন আর বিএনপির নেতারা রাজনীতিকে ভোগ-বিলাসের স্বপন হিসাবে গ্রহণ করেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু বলেন, ‘আমাদের দেশে ক্যাসিনো, জুয়া বন্ধ করতে যাওয়ার পর বিরোধী দলগুলো যেভাবে সোচ্চারের সমালোচনা করছে, তাতে বোধহয় তাদের আঁতে ঘা লেগেছে। আজকে যেখানে তাদের স্বাগত জানাবার কথা, স্বাগত জানিয়েও সমালোচনা করা যায়। কিন্তু স্বাগত না জানিয়ে সমালোচনা করা অর্থ হচ্ছে তারা এই জিনিসটাকে গ্রহণ করতে পারছেন না। অর্থাৎ এটাকে তারা অতীতে সমর্থন করতেন। কিন্তু আজকে সমর্থন করতে পারছেন না। তাই তারা সমালোচনামুখর এবং সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম বিষোদ্গার করছে। এবং লক্ষ্য করা গেছে, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা দলে অনুপ্রবেশকারী ছিল।’
স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।