কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তার কিছু হলে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। সরকার দায় এড়াতে পারবে না।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মোশাররফ আরও বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার কারণে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে এতিম হয়ে ২১ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছে। এবার অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। ক্ষমতা চলে গেলে শুধু ২১ বছর নয় ৬৩ বছর রাজনীতিতে এতিম হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে।
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, তাহলে হয়তো বাঁচতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেছেন সে যদি রাজনীতি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার মা কোনদিনও মুক্তি পাবে না। এর থেকে প্রমাণিত শেখ হাসিনার কারণে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি পাচ্ছেন না। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, তার দোষ তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান, দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে চান। যার কারণে তাকে অবৈধভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।
ছাত্রলীগ গুণ্ডা তৈরির কারখানা মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বুয়েটের আবরারকে যারা হত্যা করেছে তারা ছাত্রলীগ তাদের আমরা শাস্তি চাই। আর এই ছাত্ররা ছাত্রলীগের যোগদানের আগে সোনার ছেলে ছিল কিন্তু ছাত্রলীগের যোগদানের পরে তারা দানবে পরিণত হয়েছে। তাহলে ছাত্রলীগ গুণ্ডা তৈরির কারখানা আর এই ছাত্রলীগের অভিভাবক কে? শেখ হাসিনা। এই ছেলেগুলোকে কে দানবে পরিণত করল? তাদেরও বিচার চাই। শুধু আবরারের হত্যাকারীদের বিচার করলে হবে না তাদের যারা হত্যাকারী বানিয়েছে তাদেরও বিচার চাই।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলের যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, এ বি এম মোশারফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, রফিক শিকদার, আসাদুর রহমান খান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন, কিশোর দলের নেতা কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।