সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, আজকের ক্ষুদে লেখক ও পাঠক তথা নতুন প্রজন্মই আগামী দিনের বিখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক। তাঁরাই অাগামী দিনে নোবেল পুরস্কারসহ সাহিত্যের বড় বড় পুরস্কার অর্জন করবে। এজন্য প্রয়োজন পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বেশি করে সৃজনশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা তথা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করা।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি অায়োজিত জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি জ্ঞানমনস্ক ও আলোকিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়েরও অন্যতম প্রধান কার্যাবলী তাই। বই পড়া তথা পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপরোক্ত দুই সমিতিসহ মন্ত্রণালয়ের অাওতাধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলে সমন্বিত উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ অাহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুল হক। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাংগঠনিক পরিচালক হাসান জায়েদী।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা প্রদানের উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পরীক্ষায় (পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, O level, A level,অনার্স) কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র সদস্যদের সন্তানদের সংবর্ধিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে