কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার যেকোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। এই মেধাবীদের ধরে রাখতে এবং নতুন নতুন মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস ও কারিকুলাম যুগপযোগী করা প্রয়োজন। উচ্চতর শিক্ষাদান ও ডিগ্রী প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্বলিত সিলেবাস প্রণয়ন এখন সময়ের দাবী।
আজ কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষির আধুনিকায়ণের উদ্দেশ্যে কৃষি গবেষণা ও গবেষণালব্দ জ্ঞান প্রয়োগের বিষয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্য এবং দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করে শিক্ষার্থীরা মাঠ পর্যায় কি ভূমিকা রাখছে এবং কি ভুমিকা রাখতে পারতো তা দেখতে হবে। আমাদের পুষ্টিকর খাদ্যের প্রথমেই আসে মাছের কথা আর মাছের খাদ্য আসে কৃষি থেকেই একটি অন্যটির সাথে জড়িত; তেমনি কৃষি শিক্ষা ও কৃষি গবেষণাও । কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষণার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সেখানকার শিক্ষার মান যেন বিশ্বমানের হয় এর জন্য আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো।
শিক্ষার্থীদের কমিউনিকেশন দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের কৃষিবিদদের যেন উচ্চতর ডিগ্রি নিতে বিদেশ না যেতে হয় সে ব্যবস্থা দেশে নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চতর ডিগ্রীর ক্ষেত্রে কোর্স ওয়ার্ক অত্যান্ত জরুরী বল্লেন কৃষিমন্ত্রী।
উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যগণ বলেন; আধুনিক উন্নত শিক্ষার জন্য উন্নত ল্যাব প্রয়োজন। গবেষণা কার্যক্রম দেশ কেন্দ্রীক এবং প্রয়োজনীতার ওপর ভিত্তি করে হতে হবে। শিক্ষার্থীদের এক বছর মাঠ পর্যায় হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ প্রদান করতে হবে। গবেষণা মাঠ পর্যায় নিয়ে যেতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর দপ্তরের সাথে নিবির যোগাযোগ থাকা প্রয়োজন। সমন্বিত সিলেবাসের ব্যাপারে সবাই একমত প্রোসন করেন।
মতবিনিময় সভা সঞ্চালন করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এছাড়া সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।