ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের প্রচারণায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের ওপর মূল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালাচ্ছে বলে আবারও অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
তিনি বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকজন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আমাদের প্রচারণায় হামলা চালাচ্ছে। প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। আমরা প্রচার কাজ চালাতে পারছি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাতে চাই। হামলায় আল আমিন নামে আমাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। গতকালও আমার কর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। আমি বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে যাবো, সব জানাবো।’
ডিএনসিসি নির্বাচনে তাবিল আউয়ালের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। প্রতীক বরাদ্দের আগে আতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গেরও অভিযোগ এনেছিলেন তাবিথ।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে মিরপুর শাহ আলী মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে টানা তৃতীয় দিনের মতো ধানের শীষের প্রচারণা শুরু করার সময় তাবিথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে আছি আমরা। আমাদের ওপর একের পর এক হামলা চলছে। আমাদের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে পারছে না।’
আজ তাবিথ আউয়াল নেতাকর্মীদের নিয়ে উত্তর বিশিল থেকে গুদারাঘাট, চিড়িয়াখানা রোড, ১নং মিরপুর ঈদগাঁ মাঠ, ডি ব্লক মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, ১২ নং ওয়ার্ড দণি বিশিল, হাজী বশির উদ্দিন স্কুল রোড, হাবুলের পুকুর পাড়, ১৩ নং ওয়ার্ডে উত্তর পীরের বাগ, ৬০ ফিট, মধ্য পীরের বাগ, মোল্লা পাড়া, মনিপুরি স্কুল রোড, জোনাকি রোড, বড়বাগ হয়ে মিরপুর থানা, ১০ নং ওয়ার্ডে মিরপুর মাজার থেকে দ্বিতীয় কলোনি, তৃতীয় কলোনি হয়ে দারুসসালাম ফুরফুরা শরীফ এলাকা পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা চালাবেন বলে জানিয়েছেন।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নাগরিক সমস্যার ১২টি জায়গা চিহ্নিত করে ফেলেছি। এই ১২টি জায়গায় আমরা সমন্বয় ও গুরুত্বের ভিত্তিতে একযোগে কাজ শুরু করতে চাই। ডেঙ্গু, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও যানজটের মতো বাসা ভাড়াও ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ লড়াইয়ে জয়ী হতে পারলে ঢাকার নাগরিক সমস্যার সমাধানে কাজ করা সহজ হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি স্তর ‘দুর্নীতিতে ভরে গেছে’। মেয়র নির্বাচিত হলে সবার আগে এ দুর্নীতি দমনে কাজ করতে চাই।’
ধানের শীষের এ প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমাদের ওপর পুলিশের মামলা হবে, আওয়ামী ক্যাডারদের হামলা হবে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন কিছু বলবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন তো নিরপেক্ষ না।’
প্রচারণায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দুলু, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদ খান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক রেজোওয়ান ইসলাম রিয়াজসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।