ঢাকাকে নারীবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, নারীবান্ধব শহর গড়তে সিসি ক্যামেরা লাগাবো। সিসি ক্যামেরার টোটাল নেটওয়ার্কটা আমাদের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে।
তিনি বলেন, আলোকিত ঢাকা নির্মাণে ৪২ হাজার লাইট লাগানো হবে ঢাকা শহরে। এই লাইট লাগানোর জন্য কন্ট্রোল প্যানেলও কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে। নিরাপদ, পরিষ্কার ও আলোকিত ঢাকা গড়তে ইতিমধ্যে আমরা কমান্ড সেন্টারের কাজ শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে সব চলে আসবে কমান্ডার সেন্টারের অধীনে।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুরে নির্বাচনী গণসংযোগে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমি গত ৯ মাস দায়িত্ব পালন করেছিলাম। তখন ডিজিটাল সিটি বিনির্মাণের জন্য অনেক কিছু করেছি। অনেক কাজ দেখাতে পারিনি। আসলে ৯ মাসে কাজের ভিজিবিলিটি হয় না।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ৯ মাসের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল কমান্ড সেন্টার। ইতিমধ্যে কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছি। এই কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে ঢাকার কোথায় ময়লা পড়ে রয়েছে, পরিচ্ছন্নকর্মীরা কোথা থেকে ময়লা নেয়নি, কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে সে খবর চলে আসবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন দেরিতে হলেও সরস্বতী পূজার বিষয়টিকে আমলে নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, এটাই তার প্রমাণ। আসুন আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ বার্ষিকীতে ঢাকাবাসীকে আমরা নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, আওয়ামী লীগ ও নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড লাগে না, নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড নৌকার গিয়ার একটিই, সেটা হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার, নৌকার জোয়ার। নৌকায় যদি ভোট দেন, তাহলে অবশ্যই নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে শান্তি, নৌকা দেবে শৃঙ্খলা, নৌকা দেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষণা।’
এসময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।