কাতারে ব্যবসায় বাণিজ্য, শ্রমবাজার ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, কাতার সাধারণত ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য কোনো দেশে যায় না। তবে আমাদের দেশে তারা এসেছেন। ব্যবসা বাণিজ্য, কর্মী পাঠানো ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা দেখছি আমরা।
ঢাকা সফররত কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল-মুরাইখির সঙ্গে বৈঠকের পর সোবমাবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের একথা বলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় আয়োজিত এ বৈঠক শেষে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, কাতারে আমাদের জন্য শ্রম বাজার খুলেছে। তারা আমাদের থেকে দক্ষ কর্মী নিতে চায়। আপনারা জানেন কাতার সর্বাধিক মাথাপিছু আয়সম্পন্ন দেশ। ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ উপলক্ষে সেখানে তাদের নতুন করে শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কাতার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে মিলে কীভাবে সেখানে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে।
আগামী তিন মাসে বাংলাদেশ ও কাতার সরকারের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলেও জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে চারটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে আমরা একমত হয়েছি। আমাদের দেশ থেকে কূটনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তারা যেন সেখানে ভিসা ফ্র্রি এন্ট্রি পায়, সেখানে আমাদের কোনো নাগরিক কোনো অপরাধ করলে সাজা শেষে যেন দেশে আসতে পারে, দ্বৈত কর যেন নাগরিকেরা এড়াতে পারেন এবং নির্বাচনে সহযোগিতা করার মতো বিষয়গুলোতে আমরা কাজ শেষ করে এনেছি।
সম্প্রতি জানুয়ারিতে কাতারে মেড ইন বাংলাদেশ এক্সপো আয়োজিত হয়েছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন, এই এক্সপোটি বেশ সফল হয়েছে।