জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ পরিবর্তিত পুনর্বিন্যাস কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
রোববার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের সব আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তলিত হবে। সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিল করবেন। সেখানে শিশু সমাবেশ, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
এছাড়াও মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বনানী করাইল বস্তি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম প্রাঙ্গণে এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
রাত আটটায় বঙ্গবন্ধু জন্মক্ষণ উপলক্ষে সারাদেশে একযোগে আতশবাজি প্রদর্শনী হবে। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই আতশবাজি প্রদর্শনী হবে। এছাড়া ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসটি ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় আতশবাতি প্রদর্শনী হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে রাত আটটার পরে একযোগে সব গণমাধ্যমে প্রচারিত অনুষ্ঠান ঘরে বসে দেখা যাবে।
সভার আলোচ্য বিষয় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সভার আলোচ্য বিষয় ছিল মুজিববর্ষ নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকীর পরিবর্তিত পুনর্বিন্যাস কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা কেন্দ্রীয় ভাবে সভাপতির অনুমোদন নিয়ে, সারাদেশের জেলা, উপজেলা, মহানগর এমনকি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত আমরা মুজিববর্ষ পালনের নির্দেশনা দিয়েছি।
করোনাভাইরাসের কারণেরই পরিবর্তিত পুনর্বিন্যাস কর্মসূচি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আন্তর্জাতিকভাবে যে ভাইরাসটি আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, যেটা দেশে দেশে ছড়িয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৪৯টি দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিবর্তিত পুনর্বিন্যাস কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।