করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
করোনাভাইরাস নিয়ে জনসচেতনতায় সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, গতকাল সিলেটের সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন চৌধুরী কামরান লন্ডন থেকে ফিরে এসেই আওয়ামী লীগের সভায় যোগ দিয়েছেন, তাকে তো অর্থদণ্ড দেননি, তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাকে তো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আপনারা বলেননি। বিমান থেকে নেমেই তিনি আওয়ামী লীগের সভায় অংশ গ্রহণ করছেন। এই যে ব্যবস্থা, এটা একটা বেপরোয়া স্বৈরাচারী ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ।
রিজভী বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে করোনা নিয়ে ম্যাসিভ ড্রাইব না দিলে করোনা বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করবে এবং কত মানুষ যে মৃত্যুবরণ করবে তার কোনো আকার নেই।’
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, অনেকে বিদেশ থেকে এসেছেন। তাদেরকে বলা হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। গ্রামে-গঞ্জে অনেকে বের হচ্ছেন কিন্তু তাদেরকে বোঝাতে হবে যে, আপনাদের বাড়িতে থাকতে হবে। আমরা দেখছি সরকার সেই ব্যবস্থা না নিয়ে নির্যাতন করছে। এমনকি অর্থদণ্ড দিচ্ছে। যাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে যাদের মধ্যে উপসর্গ আছে অথবা নেই। তারা ঘুরে বেড়ালেও তাদের অর্থদণ্ড দিচ্ছে। তার মানে গৃহীত ব্যবস্থা তেমন নেই, সরকার পদক্ষেপও নিচ্ছে না। করোনা মোকাবিলা করার কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। আমরা যেটা দেখছি, সরকার ইচ্ছে করে মানুষকে ধরতে মন্ত্রতন্ত্র দিচ্ছে।
‘এই ভাইরাস মোকাবিলা করার কোনো পদক্ষেপ সরকারের নেই। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও সরকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি’-বলেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব।
এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা সরদার নুরুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।