দেশে নতুন করে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭। ইতোমধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন। করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বাইরে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা কমিয়ে দিন। অহেতুক প্যানিক সৃষ্টি না করে সচেতন ও শক্ত হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) নগরীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য উন্নয়ন বাজেটের প্রধান অংশ তথা সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
এনইসি সম্মেলনকক্ষে করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা নানা ধরনের আলোচনা হয়। সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন। দেশবাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গ্রামে গ্রামে লিফলেটও বিতরণ করা হবে।
করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্য বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হাতে অমোচনীয় সিল দেওয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই ভারতে এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, এনইসি সভায় করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা নানা আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। করোনা ভাইরাসের আতংক না ছড়িয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রীর কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন করোনা গ্লোবাল সমস্যা যা যা করার দরকার সবই করা হবে। অপ্রয়োজনীয় চলেফেরা কমিয়ে দিন। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যাবে না। মানুষ যাতে আতংকগ্রস্ত না হয়ে সচেতন হয় এ বিষয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা জোরদার করতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।
এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করবেন না শক্ত থাকেন। সচেতন হোন। রেডিও টেলিভিশনসহ অন্য মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা বাড়ান। মানুষকে বুঝিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি স্বাভাবিক কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে আমরা কাজ কমিয়ে দেবো সেটি হবে না। এটা বৈশ্বিক সমস্যা, প্রতিরোধে যা যা করার তা করতে হবে।
এছাড়া সবাইকে সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন প্রযুক্তির সময়। তাই প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কাজই করা যায়। তবে সবাইকে সতর্কভাবেই কাজ করতে হবে। প্যানিক ছড়ানো যাবে না।
এছাড়া পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বিভাগীয় শহরে করোনার পরীক্ষার সরঞ্জাম রাখার ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও জানান, এনইসিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা একটি সিল বানিয়েছি। যারা বিদেশ থেকে আসবেন এবং কোয়ারেন্টিতে থাকবেন তাদের হাতে সিলটি দেওয়া হবে।’