নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে রাজধানী ঢাকার দুটি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দুটি হলো- বাসাবো ও মিরপুর এলাকা।
আজ রোববার দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ঢাকার বাসাবো ও মিরপুর বিশেষ করে মিরপুরের টোলারবাগকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকা দুটিতে এ পর্যন্ত ২২ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে।’
এ দুটি এলাকায় কেবল রোগী নয়, রোগীর সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘এলাকা দুটিতে যাদের মধ্যে মৃদু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে আক্রান্তদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে না পারে।’
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘আমাদের প্রথম থেকেই কৌশল ছিল রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দ্রুত আক্রান্তকে আইসোলেশনে রাখা। আমরা সেই প্রস্তুতি অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। আমি সবার প্রতি অনুরোধ রাখব, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সবাইকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।’
আইইডিসিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ৮৮ জনের মধ্যে ১১ জনই রাজধানীর মিরপুর এলাকার। এ ছাড়া বাসাবো এলাকায় ৯ জন আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। মারা গেছেন ৯ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩০ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।